শালীন পোষাক, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মগ্রন্থ

বর্তমানে ভারতসহ আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা অকপটে বার বার একথা বলছেন মুসলমানদের পর্দাপ্রথা ধর্মীয় ঐক্য ও সম্প্রতির জন্য ক্ষতিকর। আসলে এসকল ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখা বুদ্ধিজীবীরা ধর্ম সম্পর্কে সবচেয়ে অজ্ঞ।

প্রকৃত কথা হল- মুসলিমদের ঐক্য হয় ঈমানের ভিত্তিতে। কুফর শিরকের সাথে তাদের ঐক্য নয় বরং বিরোধীতা। আর কাফেররা ঐক্যবদ্ধ হয় কুফর ও দুনিয়ার সম্পদ, ক্ষমতার লোভে।

পূথিবীর প্রায় সব ধর্মগ্রন্থে পর্দার কথা বলা হয়েছে। মুসলমিদের পবিত্র কুরআন শরীফে (সূরা নূরঃ ৩০,৩১, সূরা আহযাবঃ ৫৩, ৫৯, সূরা আল আরাফ ২৭নং আয়াতে) সুস্পষ্টভাবে পর্দার কথা উল্লেখ আছে । সুরা আল আরাফে বলা হয়েছে -“হে আদম সন্তানেরা আমি তোমাদের বস্ত্র দিয়েছি শরীর ঢাকার বস্ত্র হিসেবে এবং একই সঙ্গে সৌন্দর্য্য প্রকাশ করার জন্য। কিন্তু এর মধ্যে উত্তম হল তাকওয়ার ( ধর্মনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়নতা , আল্লাহভীতি) পোষাক।

আল্লাহ মহাজ্ঞানী বিশ্বজাহানের স্রষ্টা তিনি তার বান্দাদের ভালোবাসেন তারচেয়ে উত্তম কে জানে কোনটা মানবজাতির জন্য উত্তম!? আল্লাহপাক সকল পবিত্র ও উপকারী জিনিস হালাল করেছেন আর সকল অপবিত্র ও ক্ষতিকর জিনিস হারাম করেছেন। তাহলে যারা পর্দার বিধানের বিরোধিতা করে তারা আল্লাহর সাথে শত্রুতায় লিপ্ত।

ধর্মের নামে যারা এসব হিংসা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে অথচ তাদের ধর্মই পর্দার কথা বলে। সনাতন ধর্মের বেদেও পর্দার কথা উল্লেখ রয়েছে। যেমন- ঋকবেদে আছে -যেহেতু ব্রহ্মা তোমাদের নারী করেছেন দৃষ্টিকে অবনত রাখবে, উপরে নয়। নিজেদের পা সামলে রাখ। এমন পোষাক পড়ো যাতে কেউ তোমাদের দেহ দেখতে না পায়। (৮/৩৩/১৯)। আরও বলা হয়েছে – মহান ঈশ্বর তোমাদের নারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের দৃষ্টি নত রাখবে ও পর্দার আড়ালে থাকবে ।(ঋকবেদে অনু-৮৫, ৩০)

কিন্তু তারা কেন পর্দার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে!! কারণ তাদের শত্রুতা ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে!!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *