কাল রাত পর্যন্ত চারপাশে কুরআন তেলাওয়েতর ধ্বনি ও ইসলাম পালনে মুসলিমদের প্রতিযোগিতা দেখা যেত।
সেখানে ঈদের আনন্দের নামে কানে ধ্বনিত হচ্ছে হারাম গান। যে হৃদয় কুরআন শুনে শীতল হতো তা কি করে প্রশান্তি পাবে অশ্লীল বাদ্য, গানে?
একদিকে মুসলিম ভূখন্ডগুলোতে বোম, মৃত্যু ও ক্ষুধা হাহাকারে ভরপুর তবুও সামান্য খাদ্য তারা পরস্পর ভাগ করে খায়। ছোট শিশুরা আজ দায়িত্ব নিতে শিখছে তার ভাই বোনের। অন্যদিকে আমাদের অনেকে হুড়মুড় করে ছুটে চলছে মার্কেটগুলোতে কে কার আগে বিলাসী পন্য, পোষাক কিনবে তার প্রতিযোগিতায়রত।
মুমিনদের অনুভূতি একটু ব্যতিক্রম- একটা সময় (শৈশব, কৈশোরে) পুরান পোষাকে ঈদের দিন বের হতে লজ্জা পেত। আজ নতুন পোষাক পরতে লজ্জা ও আল্লাহর ভীতির কথা স্মরন হয়। যখন দেখে চারপাশে বহু বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু, নারী পুরান জীর্ন পোশাক পরে দাড়িয়ে আছে – সামান্য সাহায্যের আশায়। ঈদের দিনেই তাদের চাহিদা অতি নগন্য শুধু দুবেলা খাদ্য। নাহ! অনেক মুমিনরা পোশাক কিনে নি এবার বরং কিছু অর্থ দান করেছে গরিবের পোশাক ও খাদ্য ক্রয়ে। আর আশা রাখে এর বিনিময়ে জান্নাতে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবে।
আজও যাকাত, ফিতরার জন্য আহত, আঘাত পেতে হয় দরিদ্রদের। অথচ তা ছিল তাদের অধিকার। লোকের প্রশংসা পাওয়ার আশায় অনেকে দান করছে ঠিকই কিন্তু তার আয় সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতিতে হতে।
চার পাশে মুসলিমদের কষ্ট, শোক, দারিদ্র্যতায় মুমিনের ঈদেও বেদনা জাগে তবু একটা আশাই তার মনে- সিয়ামের প্রতিদান আল্লাহ দিবেন। দুনিয়ার জীবন মুমিনের জন্য কষ্টের। জান্নাত সকল কষ্ট ভুলিয়ে দিবে আর আল্লাহর সাক্ষাতে অন্তর আনন্দে ভরে যাবে।
সিয়াম শেষ হয়েছে, সংযম ও সাদকাসহ ইবাদত চালু রাখি – দরিদ্র্য শিশু ,নারী, বৃদ্ধ, বৃদ্ধার মুখে হাসি ফুটিয়ে ঈদের দিনটিকে জান্নাতের পথের নেয়ামত ভাবি।