শিয়াদের নিকট তাকীয়া (التقية)-র অর্থ হল: নির্ভেজাল মিথ্যা, অথবা সুস্পষ্ট মুনাফেকি (কপটতা); যেমনিভাবে তাদের বর্ণনাসমূহ থেকে তা পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট। এক্ষেত্রে মনে শত্রুতা রেখে তারা বাহিরে বন্ধুত্বের অভিনয় করে।
কিন্তু বর্তমানে অনেক রাজনৈতিক দলের সদস্যদের মাঝে তা বিদ্যমান। যদিও একে তারা হিকমাহ নাম দেয়। তারা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয়, উদ্দেশ্য লুকিয়ে ক্ষমতাসীনদের লোকের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। এমনকি ক্ষমতাসীনদের সাহায্য নিয়ে যারা গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ বাদ দিয়ে প্রকৃত ইসলাম কায়েম করতে চায় তাদের প্রশাসনের হাতে ধরিয়ে দেয় – যেন তাদের উপর জেল, জুলুম হয়।
আবার যখন ক্ষমতার পরিবর্তন হয় – যখন দেখে তাদের রাজনৈতিক (ইসলামের নামে দলীয়) পরিচয় দিলে কোন জেল, জুলুম হবে না বরং বিগত জালেম ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে বললে জনপ্রিয়তা, পদ পাওয়া যায় তখন তাদের প্রকৃত দলীয় পরিচয় প্রকাশ করে।
বার বার তারা শাসকের আচলের তলে বা আড়ালে নিজেদের পরিচয়/উদ্দেশ্য লুকিয়ে রেখে ক্ষমতা পাবার স্বপ্ন দেখে। প্রয়োজনে তারা বিশ্ব জালেমদের পক্ষে/অনুগত্য করতে দ্বিধাবোধ করে না।
শাসক পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের বক্তব্য বদলায়। অথচ নিয়ম ছিল- মুসলিমের দুঃসময়ে সত্য স্পষ্ট করা। জালেম শাসকের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট হক্ব বলে প্রয়োজনে শহীদ হওয়া। যা নবী, সাহাবী (রা:), হুসাইন (রা) ও আহলে বায়াতের আদর্শ।
একটু চিন্তা করুন – যারা বার বার দল ও দ্বীন বদলায় তারা আদৌ ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে নাকি প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথে তারাই সবচেয়ে বড় বাধা?