সুরা কাহাফ, উযাইর (আঃ) পর্ব ১

সুরা কাহাফ কুরআনের সবযুগের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সুরা। তবে অধিকাংশ আলেমরা যে যার মত ব্যাখা করছে। সুরা কাহাফ দাজ্জালের বিরুদ্ধে কার্যকর বিশেষ করে প্রথম দশ আয়াত। আসুন দেখি কি আছে ১ম বিশ আয়াতসহ। আসলে দাজ্জালের ফেতনা বুঝতে হলে ঈসা (আঃ) ও উযাইর (আঃ) নিয়ে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের আকীদা বুঝতে হবে। আল্লাহ বলেন- “আর সতর্ক করার জন্য তাদেরকে যারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্ৰহণ করেছেন।” (সুরা কাহাফ-৪)। ইহুদিদের একটা দল উযাইর (আঃ) আর খ্রিস্টানরা ঈসা (আঃ) কে আল্লাহর সন্তান বিশ্বাস করে। এছাড়া প্রকৃত ইসলাম ছাড়া সর্বধর্মের লোকেরা কেউ আল্লাহর মানবরূপ বা সন্তান সন্তানাদি হিসেবে দেব-দেবী-মালাইকা মানে তার কারণ হিসেবে তারা অনেক অলৌকিক কর্মকাণ্ড করেছেন হিসেবে দাবি করে। অথচ দাজ্জাল যে পরিমাণ ক্ষমতা পাবে ও ধোকা প্রতারণা দেখাবে ওরা যাকে রব বা রবের সন্তান মানে তার তুলনায় কিছুই না। সুতরাং এই সকল আকীদার লোকেরা নিঃসন্দেহে দাজ্জালের ক্ষমতা দেখে বা দুনিয়ার লোভে তাকে রব মানবে। যখন সুরা কাহাফের আয়াত পড়া হবে তখন মুমিন বুঝবে আর দাজ্জালের অনুসারীরা যারা আগে হতে বিভ্রান্ত ছিল। আগেই তারা ভুললোকদের রব বা রবের সন্তান মানত আর এখন দাজ্জালকে রব মানছে। অথচ মুমিনদের রব শুধু আল্লাহই, তাদের রবের কোন পরিবর্তন হয় না। আর কাফেরদের রবের পরিবর্তন হয়। কারণ ওরা নিজের মন মতো বা দুনিয়ার সুবিধা অর্জনের জন্য যে কাউকে রব ও নিয়মনীতি বানায়। সুরা তাওবায় আল্লাহ ঘোষণা করেন – “আর ইয়াহুদীরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে, মসীহ আল্লাহর পুত্র এটা তাদের মুখের কথা। আগে যারা কুফরী করেছিল তারা তাদের মত কথা বলে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। কোন দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে!”

আয়াতের ভাষ্য হতে বুঝা যায় যে, ইয়াহুদীদের সবাই এ কথা বলেছিল। কারও কারও মতে, এটি ইয়াহুদীদের এক গোষ্ঠী বলেছিল। সমস্ত ইয়াহুদীদের আকীদা বিশ্বাস নয়। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে, সাল্লাম ইবন মিশকাম, নুমান ইবন আওফা, শাস ইবন কায়স ও মালেক ইবনুস সাইফ তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, আমরা কিভাবে আপনার অনুসরণ করতে পারি, অথচ আপনি আমাদের কেবলা ত্যাগ করেছেন, আপনি উযায়েরকে আল্লাহর পুত্র বলে মেনে নেন না? তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করলেন। [তাবারী; সীরাতে ইবন হিশাম ১/৫৭০]। উযায়ের সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, ইয়াহুদীরা যখন তাওরাত হারিয়ে ফেলেছিল তখন উযায়ের (আ) সেটা তার মুখস্থ থেকে পুণরায় জানিয়ে দিয়েছিল। তাই তাদের মনে হলো যে, এটা আল্লাহর পুত্র হবে, না হয় কিভাবে এটা করতে পারল। [সা’দী; কুরতুবী; ইবন কাসীর]। এটা নিঃসন্দেহে একটি মিথ্যা কথা যে, উযায়ের তাদেরকে মূল তাওরাত তার মুখস্থ শক্তি দিয়ে এনে দিয়েছিল। কারণ উযায়ের কোন নবী হিসেবেও আমাদের কাছে প্রমাণিত হয় নি। এর মাধ্যমে ইয়াহুদীরা তাদের হারিয়ে যাওয়া গ্রন্থের ধারাবাহিকতা প্রমাণ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা তাদের দাবী মাত্র। ঐতিহাসিকভাবে এমন কিছু প্রমাণিত হয়নি। [দেখুন, ড. সাউদ ইবন আবদুল আযীয, দিরাসাতুন ফিল আদইয়ান- আল-ইয়াহুদিয়াহ ওয়ান নাসরানিয়্যা]। ঠিক তেমনি আসহাবে কাহাফের যুবকদের সাথে উযাইর (আঃ) এর সম্পর্ক রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: “অথবা সে ব্যক্তির মত, যে এমন এক জনপদ অতিক্রম করছিল যা তার ছাদের উপর থেকে বিধ্বস্ত ছিল। সে বলল, মৃত্যুর পর কিভাবে আল্লাহ একে পুনর্জীবিত করবেন? অতঃপর আল্লাহ তাকে একশ বছর মৃত অবস্থায় রাখলেন। তারপর তাকে পুনর্জীবিত করলেন। আল্লাহ বললেন, ‘তুমি কতকাল এভাবে ছিলে?’ সে বলল, একদিন বা একদিনেরও কিছু কম সময়। তিনি বললেন, বরং তুমি একশত বছর অবস্থান করেছ। এবার চেয়ে দেখ নিজের খাবার ও পানীয়ের দিকে সেগুলো অবিকৃত রয়েছে এবং দেখ নিজের গাধাটির দিকে। আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে চেয়েছি। হাড়গুলোর দিকে চেয়ে দেখ, আমি কিভাবে সেগুলোকে সংযুক্ত করি এবং গোশত দ্বারা ঢেকে দেই। অতঃপর যখন তার নিকট স্পষ্ট হলো তখন সে বলে উঠল- ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান’। [সূরা বাকারা, আয়াত: ২৫৯]। প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী এই ব্যক্তি হচ্ছেন- উযাইর। ইবনে জারির ও ইবনে আবু হাতিম ইবনে আব্বাস, হাসান, কাতাদা, সুদ্দি ও সুলাইমান বিন বুরাইদা থেকে এ অভিমতটি বর্ণনা করেছেন। ইবনে কাছির বলেন: এই উক্তিটি প্রসিদ্ধ। [তাফসিরে ইবনে কাছির (১/৬৮৭) থেকে সমাপ্ত] ‘বুখতানাসসার’ নামক ব্যক্তি উল্লেখিত গ্রামটিকে ধ্বংস করে ফেলার পর ও গ্রামবাসীকে হত্যা করার পর উযাইর সে গ্রাম দিয়ে (প্রসিদ্ধ মতে সেটি বাইতুল মুকাদ্দাস) অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। তখন সে গ্রামটি ছিল বিরান; তাতে কেউ ছিল না। এ গ্রামটি জনবহুল থাকার পর এখন এর যে অবস্থা তা নিয়ে তিনি ভাবতে ভাবতে বললেন: “মৃত্যুর (ধ্বংসের) পর কিভাবে আল্লাহ একে পুনর্জীবিত করবেন?” ধ্বংস ও বিরানতার ভয়াবহতা এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসাকে দুরহ দেখে তিনি এ কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “অতঃপর আল্লাহ তাকে একশ বছর মৃত অবস্থায় রাখলেন।” এর মধ্যে শহরটি আবার পুনর্জীবিত হয়ে উঠেছে, লোকে লোকারণ্য হয়েছে, বনী ইসরাইলগণ এ শহরে ফিরে এসেছে। এরপর আল্লাহ যখন তাকে পুনর্জীবিত করলেন তখন সর্বপ্রথম তার চোখ দুইটিকে জীবিত করলেন যাতে করে সে আল্লাহর সৃজন ক্ষমতাকে দেখতে পায়, কিভাবে আল্লাহ তার দেহকে পুনর্জীবিত করেন। যখন তার গঠন পূর্ণ হল তখন আল্লাহ তাকে বললেন (অর্থাৎ মালাইকার মাধ্যমে) ‘তুমি কতকাল এভাবে ছিলে?’ সে বলল, একদিন বা একদিনেরও কিছু কম সময়। তাফসিরকারগণ বলেন: যেহেতু সে মারা গিয়েছিল দিনের প্রথমাংশে; আর তাকে পুনর্জীবিত করা হয়েছে দিনের শেষাংশে। যখন সে দেখল এখনো সূর্য আছে সে ভেবেছে এটি সে দিনেরই সূর্য। তাই সে বলেছে: “একদিনেরও কিছু কম সময়। তিনি বললেন, বরং তুমি একশত বছর অবস্থান করেছ। এবার চেয়ে দেখ নিজের খাবার ও পানীয়ের দিকে সেগুলো অবিকৃত রয়েছে।” বর্ণিত আছে তার সাথে আঙ্গুর, ত্বীন ফল ও শরবত ছিল। সে এগুলোকে যেমন রেখে মারা গিয়েছিল ঠিক তেমনি পেল। কোন পরিবর্তন হয় নি। শরবত নষ্ট হয়নি, আঙ্গুর পচেনি, ত্বীন গন্ধ হয়নি। “এবং দেখ নিজের গাধাটির দিকে।” অর্থাৎ তাকিয়ে দেখ তোমার চোখের সামনে আল্লাহ কিভাবে সেটিকে পুনর্জীবিত করেন। “আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে চেয়েছি।” অর্থাৎ পুনর্জীবিত করার পক্ষে প্রমাণ বানাতে চেয়েছি। “হাড়গুলোর দিকে চেয়ে দেখ, আমি কিভাবে সেগুলোকে সংযুক্ত করি” অর্থাৎ একটি হাড্ডির সাথে অন্য হাড্ডিটি জুড়ে দেই। প্রত্যেকটি হাড্ডিকে স্ব স্থানে স্থাপন করে একটি ঘোড়ার কংকাল বানান; তাতে কোন গোশত ছিল না। এরপর এ হাড্ডির উপর গোশত, স্নায়ু, রগ ও চামড়া পরিয়ে দেন। এ সবকিছু করেছেন উযাইর এর চোখের সামনে। এভাবে যখন তার সামনে সবকিছু পরিষ্কার হলো তখন সে বলে উঠল- ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান’। অর্থাৎ এটি জানি। আমি তা সচক্ষে দেখেছি। আমার যামানার লোকদের মধ্যে আমি এ বিষয়ে সবচেয়ে ভাল জানি। [দেখুন: তাফসিরে ইবনে কাছির (১/৬৮)] ইহুদিদের একটা দল উযাইরকে (আঃ) নিয়ে গর্ব করত সে রবের পুত্র, নাউজুবিল্লাহ। তার অন্যতম কারণ আল্লাহ তাকে ১০০ বছর পর জীবিত করেছেন। পক্ষান্তরে আসহাবে কাহাফের যুবকগণ ছিলেন ঈসা (আঃ) এর অনুসারী তাই কিছু খ্রিস্টানরা তাদের রবের পুত্রের (ঈসা আঃ) গর্ব করত নাউজুবিল্লাহ!! বালক অনুসারীদের মোযেজা তাদের মিথ্যা রবের পুত্র উযাইর (আঃ) এর চেয়ে বেশি। কারণ উযাইরকে (আঃ) ১০০ বছর আর আসহাবে কাহাফের যুবকদের তিনশের অধিক বছর আল্লাহ ঘুমের মাঝে জীবিত রেখেছেন। তাই আল্লাহপাক ইহুদিদের আসহাবে কাহাফের ঘটনা উল্লেখ করে দুদলের ভুল আকীদা তুলে ধরেন। আর জানিয়ে দেন ঈসা (আঃ) নাউজুবিল্লাহ আল্লাহর পুত্র ছিলেন না আর আসহাবে কাহাফের যুবকগণ খ্রিস্টান নন বরং আল্লাহর একনিষ্ঠ মুসলিম বান্দা ছিলেন। আল্লাহ বলেন –

وَّ رَبَطۡنَا عَلٰی قُلُوۡبِهِمۡ اِذۡ قَامُوۡا فَقَالُوۡا رَبُّنَا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ لَنۡ نَّدۡعُوَا۠ مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اِلٰـهًا لَّقَدۡ قُلۡنَاۤ اِذًا شَطَطًا ﴿১৪﴾ هٰۤؤُلَآءِ قَوۡمُنَا اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اٰلِهَۃً ؕ لَوۡ لَا یَاۡتُوۡنَ عَلَیۡهِمۡ بِسُلۡطٰنٍۭ بَیِّنٍ ؕ فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ﴿ؕ১৫﴾

“আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বললঃ আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে (১৪) এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক গোনাহগার আর কে?” (১৫)

আর ঘটনা দুটি ছিলো কেয়ামতের পর পূনঃজীবনের প্রমাণ। এগুলো হলো সেই অদৃশ্যের জ্ঞান যা আল্লাহ যতটুকু স্পষ্ট করেছেন তার বেশি মানুষ জানতে পারবে না। মুমিনের বৈশিষ্ট্য হল শোনামাত্র মেনে নিবে আর কাফেদের বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবে। যারা এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত নয়। আল্লাহ বলেন-

وَ کَذٰلِکَ اَعۡثَرۡنَا عَلَیۡهِمۡ لِیَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ اَنَّ السَّاعَۃَ لَا رَیۡبَ فِیۡهَا ۚ٭ اِذۡ یَتَنَازَعُوۡنَ بَیۡنَهُمۡ اَمۡرَهُمۡ فَقَالُوا ابۡنُوۡا عَلَیۡهِمۡ بُنۡیَانًا ؕ رَبُّهُمۡ اَعۡلَمُ بِهِمۡ ؕ قَالَ الَّذِیۡنَ غَلَبُوۡا عَلٰۤی اَمۡرِهِمۡ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَیۡهِمۡ مَّسۡجِدًا ﴿২১﴾ سَیَقُوۡلُوۡنَ ثَلٰثَۃٌ رَّابِعُهُمۡ کَلۡبُهُمۡ ۚ وَ یَقُوۡلُوۡنَ خَمۡسَۃٌ سَادِسُهُمۡ کَلۡبُهُمۡ رَجۡمًۢا بِالۡغَیۡبِ ۚ وَ یَقُوۡلُوۡنَ سَبۡعَۃٌ وَّ ثَامِنُهُمۡ کَلۡبُهُمۡ ؕ قُلۡ رَّبِّیۡۤ اَعۡلَمُ بِعِدَّتِهِمۡ مَّا یَعۡلَمُهُمۡ اِلَّا قَلِیۡلٌ ۬۟ فَلَا تُمَارِ فِیۡهِمۡ اِلَّا مِرَآءً ظَاهِرًا ۪ وَّ لَا تَسۡتَفۡتِ فِیۡهِمۡ مِّنۡهُمۡ اَحَدًا ﴿২২﴾

“এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কিয়ামতের দিন সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল, তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর। তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভাল জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল, আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে মসজিদ নির্মান করব (২১) অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে, তারা ছিল তিন জন; তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে; তারা পাঁচ জন, তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আবার কতক লোক বলবে, তারা ছিল সাত জন, তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বল, আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভাল জানেন। তাদের সম্পর্কে অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না (২২) (সুরা কাহাফ)। আজও অনেকে আল্লাহর অস্তিত্ব, ওয়াদাহতুল ওজুদ, পীর আউলিয়া কেরামতি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে বনী ইসরায়েলের মত ঈমানহারা হচ্ছে। অথচ এসব ব্যাপারে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য হল কুরআন, সুন্নাহ অনুযায়ী আকীদা রাখবে আর বহিঃভূত যারা বাড়াবাড়ি আকীদা রাখে তাদের কাছে জানতে চাইবে না। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে মুসা (আঃ) ও খিযির নিয়ে আলোচনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *