সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর তালিকায় ছোট দেশ শ্রীলঙ্কা অন্যতম। এর প্রধান কারণ ওরা সর্পদেবতা ও সাপের পূজা করে তাই সাপ মারে না এই ভেবে সাপ মারলে সর্পদেবতার অভিশাপ লাগবে আরও বেশি মৃত্যু হবে। বরং যতবেশি সাপের আতংক বাড়ে তারা সুরক্ষার জন্য ততবেশি সর্পদেবতা ও সাপের পূজা করে। তাতে সাপের কামড়ে মৃত্যু তো কমেই না বরং বাড়ে। এজন্য যুগ যুগ ধরে ওরা আতংক, আঘাত, মৃত্যুবরণ করছে। কিন্তু সাপের বিষদাত ভেঙ্গে দেওয়া বা ওদের বন্দী করার মত শুভবুদ্ধির উদয় হয় না। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সর্পবিশেষজ্ঞরা বন, জঙ্গল হতে সাপ ধরে এনে ওদের হতে বিষ কেড়ে নেয় এবং তাকে সর্পকাটা রোগীর প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে নিজেরা সমৃদ্ধ হয় ও এভাবে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হয়। ওরা ঠিকই বুঝেছে সাপের মূলশক্তি বিষ। বিষহীন সাপ ছোট বাচ্চাও ভয় পাবে না। এবার আমাদের অবস্থান মিলিয়ে দেখুন, শ্রীলঙ্কার অন্ধবিশ্বাসী সর্পপূজারীদের সাথে। প্রথমে কিছুলোক নিজেরা মাটি, পানি, জীবন্ত সাপ দিয়ে সর্পপূজা শুরু করে আর যুগ যুগ ধরে ওরা অন্ধের মত অনুসরন করে আসছে। এই সর্পমূর্তি সৃষ্টাপ্রদত্ত কোন বিধান নয়। ঠিক তেমনি আমাদের দেশে প্রথমে কিছুলোক আল্লাহর সংবিধান বাদ দিয়ে নিজেদের মন মতো সংবিধান রচনা করেছে। আর যুগ যুগ ধরে মানুষ অন্ধের মত অনুসরণ করে চলছে। যতই জুলুৃম, নির্যাতন হোক মানুষ ততই এই সংবিধানের আইন অনুযায়ী বিচার চায়। আর আইন, সংবিধান রক্ষার নাম দিয়ে ক্ষমতাসীনরা সাপের মত তাদের বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আহত, আতংকিত করে চলছে। সর্পদেবতার মূর্তি অন্যকে কি রক্ষা করবে সে সামান্য আঘাতে নিজেই ভেঙ্গে যায়। তেমনি এই সংবিধান তার অনুসারীদের কি রক্ষা করবে!! ক্ষমতা পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের আইনগুলোও পরিবর্তন হয়ে যায়। তবুও আমরা অন্ধের মত এই সংবিধান ও সংবিধানের পরিচালকের কাছে বিচার চাই আর ওরা নির্বিচারে হত্যা, বন্দী করে। সর্পবিশেষজ্ঞরা সাপের অস্ত্র বিষ কেড়ে নেয় তেমনি আমাদের সংবিধান পরিচালকদের অস্ত্র হল ক্ষমতা। যদি মানবরচিত আইন প্রণয়নের অধিকার কেড়ে নিয়ে আল্লাহ প্রদত্ত আইন প্রতিষ্ঠা করা যেত তাহলে সমৃদ্ধ হত দেশ। জুলুম, নির্যাতন, খুন, ধর্ষনবিহীন সুস্হ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা হতো।