বর্তমানে অদ্ভুত অজ্ঞতা আমাদের চারপাশে বিরাজ করছে। মানুষের গুণ বলতে বর্তমানে বুঝায় তার জীবনধারণের উপকরণে, তার মানবিক চরিত্র ও দায়িত্ববোধে নয়। একজন ব্যক্তির বাড়ী, গাড়ি, উন্নত পোষাক এগুলোকে তার ব্যক্তিত্ব ও গুণ ধরা হয়। তার চরিত্রজীবন যেমনই হোক না কেন, হয়তো তার আকীদায় শিরক বিদ্যমান, তার আয়ের উৎস হারাম এগুলো আলোচনায় স্হান পায় না। অথচ এগুলো জীবনের উপকরণ। মানবিক গুণ হল আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা। যে যত বেশি আল্লাহর প্রদত্ত নিয়ম মেনে চলল সেই তত আর্দশবান, গুণবান। এজন্য নবী-রসুলগণ আদর্শ। যদি দুনিয়ার সম্পদ, উপকরণ ও বিলীসিতা দ্বারা সফলতা লাভ হত তাহলে তাদের মত বিফল কেউ ছিলেন না। তারা ছিল পরিমিত আহারী। দামী বাড়ী, বিছানা, জমাকৃত সম্পদ কিছুই তাদের ছিল না বরং তারা অতি কষ্টেও হারাম স্পর্শ করত না। আজ নামধারী মুসলিমরা প্রতিযোগিতারত হালাল-হারাম বিবেচনা না করে কিভাবে সম্পদ অর্জন করা যায়। অথচ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ হতে বর্নিত – “মুমিন গোনাহকে এভাবে দেখে, সে যেন পাহাড়ের নিচে বসে আছে যে তার উপর পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে। পক্ষান্তরে পাপী তার গোনাহকে দেখে যেন মাছি তার নাকের ডগায় বসেছে, তাকে এভাবে তাড়িয়ে দেয়।” (বুখারী)। সবাই মুসলিম দাবীদার অথচ ইসলাম কি, মুসলিম কি তাই জানে না। ইসলাম অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ এটাই জানে না, বলে ইসলাম মানে শান্তি। নফসের শিরক জানে না, বুঝে না। মানুষ ভুলে গেছে তার সৃষ্টির কারণ তাই জীবনযাপনের উপকরনের মাঝে সফলতা ও আত্মতৃপ্তি খুজে। তাই হালাল-হারাম যেভাবেই হোক দুনিয়ার উপকরন অর্জন করতে চায় অথচ সন্তুষ্টি শুধু আল্লাহর আনুগত্যে।