ইসলামী রাষ্ট্রের নেতৃত্বের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া অন্যতম যোগ্যতা। আর আমাদের বর্তমান তাগুতী শাসনব্যবস্থায় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক অসুস্থ বয়স্করা মন্ত্রালয়সহ বড় বড় পদ দখল করে নেয়। এরপর সরকারি খরচে সিংগাপুর, লন্ডনসহ বহু জায়গায় চিৎকিসা নিতে হয়। রাষ্ট্রের উন্নয়নের চেয়ে তাদের চিৎকিসা খাতে অর্থ ও সময় বেশি ব্যয় হয়। অতীতে যার বহু উদাহরণ রয়েছে।
প্রত্যেকে তার অবদান অনুযায়ী প্রাপ্য হবে তবে যোগ্যতা অনুযায়ী পদ পদবী পাবে যা ইসলামী রাষ্ট্রের নীতি। ধরুন কোন ব্যক্তি জিহাদের ময়দানে বিশেষ ভূমিকা রাখতে গিয়ে হাত-পা হারালো। তার জন্য সে আল্লাহর নিকট পুরষ্কার পাবে তবে রাষ্ট্র তার সকল প্রকার প্রয়োজন পূরণ ও সম্মানের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু জিহাদে তার বিশেষ অবদানের জন্য তাকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাপ্রধান বানানোটা হবে অযৌক্তিক ও বোকামী যখন বহু সুস্থ দক্ষ ব্যক্তি জীবিত রয়েছে। সেনাপতির দায়িত্ব পালন তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে এবং পূর্ন সুস্থ না হওয়ায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কার্যক্রম, জিহাদের ময়দানে শতভাগ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে না। যা একজন সুস্থ ও দক্ষ ব্যক্তি সহজে পারবে।
অথচ আমাদের অধিকাংশ নেতারা ক্ষমতা পাবার দাবি করে বলে পূর্বে তথাকথিত স্বাধীনতায় তার ভূমিকা ছিল। ৭১ এর নাম দিয়ে একদল লোক ক্ষমতা ভোগ করেছে আর এখন চলছে ২৪ এর স্বাধীনতার নামে।
খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা:) জিহাদের ময়দানে নেতৃত্ব ফেলেও সিরিয়ার বিজয়ের পর গভর্নর করা হয় আবু উবাহদা ইবনে জারারাহ (রা:) কে। কারণ ইলম ও হিকমাহর দিক দিয়ে তিনি দক্ষ ও যোগ্য। তেমনি যে বিষয়ে যার ইলম, সততা ও দক্ষতা রয়েছে সে পদ পাওয়ার যোগ্য।
ধরুন একজন ব্যক্তি ইসলামকে ভালোবেসে জিহাদে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে কিন্তু তার শরীয়ার ইলম কম। তাকে বিচারক বানানো উত্তম নাকি যার ইলম, সততা ও আমল রয়েছে তাকে বিচারকের পদ দেওয়া সঠিক হবে? যাদের ইসলামের ইলম ও আখলাক নেই, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের কুফরী চেতনায় বিশ্বাসী তারা কি আসলে মুসলিমদের নেতা ও ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে? এজন্য যে তারা প্রচার করে নবস্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা রয়েছে, নাকি ক্ষমতা হাসিলের রাজনীতি করে।
যারা গনতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাসহ সকল কুফর ও শির্ক বাদ দিয়ে রসুলেী (সা:) আদর্শ অনুযায়ী ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছে তারা প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠা চায়?
একটু চিন্তা করুন কোনটা সঠিক?!