নিঃসন্দেহে শামদেশে (সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন, জর্ডান, ইসরাইল, ইরাকের কিছু এলাকা) নানান ধরনের ফিতনা প্রকাশ পাবে। সেখানে ফিতনা এমনভাবে আসবে যেন কূপের ভিতর পানি পতিত হচ্ছে, যা তোমাদের কাছে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আর তোমরা ক্ষুধার কারণে লজ্জিত হবে। সেই সময় রুটির ঘ্রান মিশকের ঘ্রাণের চেয়েও প্রিয় হবে (আল ফিতান ৬৬৫ নং হাদিস)। ছবিটিতে এক সিরিয়ান পিতা খাদ্যের অভাবে তার ছেলেকে ডাস্টবিনের পরিত্যক্ত শুকনো রুটি খাওয়াচ্ছেন। আল ফিতান অনুযায়ী – শামের ফেতনা শুরু হবে শিশুদের খেলা হতে, তা ১২ বা ১৮ বছর চলবে। শামের ফেতনা হল অন্ধকারের ফেতনা মানুষ সত্য মিথ্যা যাচাই করতে পারবে না। শামে ফেতনা শুরু হলে সারাবিশ্বে কোথাও শান্তি থাকবে না। যখন স্বর্ণের পাহাড় উঠবে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। হক্বপন্থীরা স্বর্ণের পাহাড়ের নিকট যাবে না। আর কেয়ামত পর্যন্ত একটি দল হক্বের পথে লড়াই করবে। আলেমদের মতে সে দলটা শামে থাকবে। হজরত শুরাইহ ইবনে উবাইদ (রাঃ) বলেন, হজরত আলী (রাঃ) ইরাকে অবস্থানরত অবস্থায় তাকে শামবাসীর ব্যাপারে বলা হলো, আপনি তাদের অভিশাপ করুন! তখন তিনি বলেন, না, আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে শাম ভূখণ্ডে আবদালরা (আল্লাহ ওলিদের বিশেষ দল) থাকেন। তারা ৪০ জন থাকেন, যখনই তাদের একজন মারা যান, আল্লাহ তার স্হানে অন্য একজনকে রাখেন। তাদের বরকতে বৃষ্টি হয় ও শত্রুর উপর জয়লাভ হয়। ভবিষ্যতে তাদের উছিলায় শামবাসীদের থেকে আজাব উঠিয়ে নেওয়া হবে (মুসনাদে আহমদ, ৮৯৬)। শামের বিপদ কেটে যাবে কিন্তু চিন্তা করুন আবদালরা থাকা অবস্থায় কতটা পরীক্ষা ও বিপদের সম্মুখীন হয়েছে শামবাসী। আর যারা বলে পীর, আউলিয়ার দেশ বাংলাদেশ তাই এই ভূখন্ডে কিছু হবে না তারা চরম বিভ্রান্তিতে আছে।