শান্তির ধর্ম ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত!

ইসলাম শান্তির কথা বলে- ন্যায়বিচার, সুশাসন, ভারসাম্যের দিকে আহ্বান করে। অন্য ধর্মের নিরীহ লোক যারা ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি তারা ইসলামী রাষ্ট্রে নিরাপদে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে। বিনা কারণে মুমিনদের উচিত নয় অন্য ধর্মের লোকদের আঘাত করা। কিন্তু ইসলাম ও মুসলিমদের নীতি সকলের কল্যাণ চাওয়া। তাই সে আহ্বান করবে – যেন সকল প্রকার কুফর, শির্ক ছেড়ে মুসলিম হয়ে মানুষ জাহান্নাম হতে রক্ষা পায় ও জান্নাতে যেতে পারে।

এখন এই আহ্বান করলে অনেকে আপত্তি জানাতে পারে – বলতে পারে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হচ্ছে! সেজন্য মুমিন কি কল্যাণকর দায়িত্ব হতে বিরত থাকবে?

রসুল (সা:) যখন কালেমার দাওয়াহ দেন – তখন আবু জাহেল, আবু লাহাবরা বিরোধিতা করেন এই অজুহাতে যে তাদের ধর্মকে অস্বীকার করা হচ্ছিল। এতে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছিল। অথচ আমরা কালেমা পড়ে সাক্ষী দিই – সকল প্রকার তাগুত, শির্ক, ধর্ম বাদ দিয়ে এক আল্লাহর ইবাদত ও রসুলের (সা:) আদর্শ অনুসরণ করার। আযানেও প্রতিদিন পাঁচবার এই স্বীকৃতি দেই।

এখন যদি কেউ দাবি করে – তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় বা রাজনীতিবীদ নেতাদের আদর্শকে বাদ দিয়ে একমাত্র রসুলের (সা:) আদর্শের দিকে আহ্বান করা উগ্রবাদ! মুমিন কি তা মেনে নিবে? এজন্য কি কালেমা ও আযান ছেড়ে দিবে? অথচ আজ শরীয়া চাইলে মুসলিম নামধারীরা একই পরিচয়ে অভিহিত করে কিন্তু মুমিনের বিশ্বাস ইসলাম একমাত্র মানবজাতির সমাধান সে তা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাবে। যতই মানুষ বিরোধিতা করুক না কেন।

আমরা পশু কুরবানী দিলেও কেউ দাবি করবে হয়তো তার ধর্মের উপর আঘাত হয়েছে। অনেক ধর্মের লোক বিশেষ বিষধর সাপ, হিংস্র বাঘের পূজা করে। এখন বিষধর সাপ/বাঘ ঘরে প্রবেশ করলে তা মারলেও তার ধর্মের আঘাত হিসেবে দাবি করতে পারে। এই জন্য কি মানুষ বিষধর সাপ, হিংস্র বাঘ, নেকড়ে মারা ছেড়ে দিচ্ছে?

আমরা কুরআন পড়লেও ইহুদি, খ্রিস্টান, মূর্তিপূজারী, সুদের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যাবে, এই জন্য কি আমরা কুরআন পড়া ছেড়ে দিবো?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *