মুসলিম চেতনা হারিয়ে ধর্ষণের বিস্তার

৫ ই রজব ৯২ হিজরি, একজন খ্রিস্টান গর্ভনর জুলিয়ান, আফ্রিকা ও মিশরের মুসলিমদের গর্ভনর মুসা ইবনে নুসাইরের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জুলিয়ান প্রথমে মুসা ইবনে নুসাইরকে স্পেনের (আন্দালুস) নারীর সৌন্দর্য্য ও সম্পদের বর্ণনা দিয়ে তাকে স্পেন আক্রমণ করতে বলেন। মুসলিমদের গভর্নর প্রত্যাখান করলেন। পরে জুলিয়ান তার কাছে সুস্পষ্ট সত্য যা আড়াল রেখেছিলেন স্পেনের রাজা রডরিক কর্তৃক জুলিয়ানের কন্যাকে ধর্ষনের কথা খুলে বলেন ও বিচার চান।মুসা ইবনে নুসাইর এবার রাজি হন। তার সময় অনেক বর্বর (তিউনিসিয়া, আলজেরীয়া, মালি, লিবিয়া) ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসা ইবনে নুসাইর স্পেন আক্রমণের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত করেন যার নেতৃত্বে ছিলেন তারিক বিন যিয়াদ। তারিক বিন জিয়াদ জাহাজ নিয়ে স্পেনে পৌঁছেন তারপর জাহাজ পুড়িয়ে দেন। তারপর এক যুগান্তকারী বক্তব্য দেন- “হে আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদগণ, কোথায় পালাবে তোমরা? তোমাদের পেছনে সাগর আর সামনে শত্রু। তোমাদের কাছে আছে কেবল ঈমানী দৃঢ়তা ও সাহস। যদি তোমরা মৃত্যুকে তুচ্ছ করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে পারো তবে আল্লাহর সাহায্য বা জয় নিশ্চিত। ভেবোনা আমি তোমাদের বিপদের মুখে ফেলে পালিয়ে যাবো। আমি সবার সামনে থাকবো আমার বাচার সম্ভবনাই ক্ষীন।” যার ফলে ঈমানদীপ্ত হয়ে মুজাহিদরা ঝাপিয়ে পড়ে মাত্র ১২ হাজার সৈন্য নিয়ে যারা ১ লক্ষ সৈন্যবাহিনী পরাজিত করে স্পেনে ন্যায়বিচার (ইসলামী শাসন) প্রতিষ্ঠা করে। এমন সময় ছিল মুসলিমরা বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে করত আর এখন দুনিয়াকে আকড়ে ধরা মুসলিমদের নিজ দেশেই নারী, বোন, শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে প্রতিদিনই অথচ কতটা নির্লজ্জ, কাপুরুষতা নিয়ে আমরা বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর। আজ মুসলিম নারীর ইজ্জত মুসলিম অধ্যুষিত দেশেই অতি নগন্য। কারণ আমরা কুরআনের শাসন, আইন ও জেহাদের পথ ভুলে দুনিয়া অর্জনকে সফলতা ভাবি। আর তাই এই দুনিয়াতে আমাদের উপর লাঞ্ছনা চেপে বসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *