ভারত উপমহাদেশে পাক-ভারত-চীন দ্বন্দ্ব চলছে হয়তো তা যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। রাসুলের (সা:) হাদীসে বহু আগেই যার উল্লেখ অথচ আমরা আজও বেখবর। আর মাগরিবেও (নাইজার, মালি, আলজেরিয়া, তিউনেসিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, লিবিয়া) চলছে অনুরূপ বিপ্লব। শেষ জমানার হাদীসগুলো দেখলে অবাকই লাগে কত মিল!! রাসুলুল্লাহ বলেছেন – একসময় পশ্চিমারা পৃথিবী শাসন করবে কত না জঘন্য হবে তাদের শাসন। (আল ফিতান ৭৪৯)। রাসুল (সা:) হলুদ পতাকাবাহী পশ্চিমা বা বর্বর জাতি বা আবকাদের ক্ষমতা লাভের ব্যাপারে বহু আগে সর্তক করেছেন, আসমানের নিচে ওদের চেয়ে বর্বর আর কেউ নেই। (আল ফিতান-৭৫০)। কে এই হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি? আলেমদের মতে ওরা হল বর্তমান Tigray বা Tureg জাতি যারা ইতিমধ্যে মাগরিবে তাদের বিপ্লব শুরু করে দিয়েছে। তাদের সমর্থনপুষ্ঠ দল Tplp টাইগ্রে ইথিওপিয়া দখল শুরু করেছে। কালো পতাকাবাহীর পর তুর্কীরা সিরিয়ায় প্রবেশ করবে এরপর বর্বর তাওয়ারেগ জাতি আসবে সেখানে। (আল ফিতান- ৭৪৭)। তাওয়ারেগ মূলত কালো বর্ণের, মরুভূমিতে বসবাস করে, অশিক্ষিত ও অবহেলিত জাতি। হাদীস অনুযায়ী-
(১) ইরাক, সিরিয়া, মিশরে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতি সাময়িক ক্ষমতা লাভ করবে। তাদের ও রোমানদের হটিয়ে আবকারা মিশর দখল করবে। এরপর আবকারা ২ ভাগে বিভক্ত হবে একদল সিরিয়ার হিমসে প্রবেশ করবে ও অন্যদল ফিলিস্তানের রামাল্লায় অংশগ্রহণ করবে।
(২) অন্যদিকে বনু কাল্ব গোত্রের পতন (বাশার আল আসাদের গোত্র) যখন প্রায় নিশ্চিত তখন হঠাৎ শামের ওয়াদিউল ইয়াবেস বা ইন্দর শহর হতে সুফিয়ানী ( বনু কালব গোত্রেরই সমর্থিত) ক্ষমতা লাভ করবে। সে ইরাক, সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতি ও বনু হাশেম গোত্রের লোকদের (রসুল (সাঃ) একই বংশের) হত্যা করবে ও আবকাদের পরাজিত করবে।
(৩) ফোরাত নদীর তীরে সিরিয়ার দেইর আর জুরে স্বর্ণের পাহাড় উঠবে যা নিয়ে ব্যাপক যুদ্ধ হবে। যাতে ৯৯ ভাগ লোকই মারা যাবে। এখনই এর আশেপাশে ইরান, রাশিয়া, কুর্দী, তুরস্কের ঘাটি রয়েছে।
(৪) আসহাব জাতির নিহত হওয়ার পর তাদের সাহায্য করার জন্য আমু নদীর পাশ্ববর্তী দেশ ও খোরাসান (উজবেকিস্তান, কাজাকিস্হান, তাজাকিস্হান, ইরান, আফগানিস্তান) হতে মনসুর ইয়ামেনী, হারস হাররাস এক বাহিনী নিয়ে বের হবেন। আর মনসুর ইয়ামেনী বের হওয়ার ৭২ মাস পর এই বাহিনী ঈমাম মাহদীর কাছে ক্ষমতা দিবে।
(৫) সুফিয়ানী ঈমাম মাহদীকে হত্যা করার জন্য ৭০ হাজার লোকের বাহিনী পাঠাবেন যারা মদীনার বায়দা নামক মাঠে পৌছালে একজন ছাড়া সবাই ভূমিধ্বসে মারা যাবে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে মুসলিমরা (ইরাকের আসহাব ও সিরিয়ার আবদালসহ) ঈমাম মাহাদীর সাথে যোগ দিবে। আর মাহাদী ১ম যুদ্ধ করবেন সিরিয়ায় সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ও তাকে হত্যা করবে।
(৬) ইয়েমেনের আদন ও আবিয়ান হতে শ্রেষ্ঠ মুজাহিদরা বের হবে যারা ঈমাম মাহাদীর সাথে যোগ দিবে।
(৭) খোরাসান অর্থাৎ মনসুর ইয়ামেনীর কালো পতাকাবাহী দল জেরুজালেম বিজয় করবে। জেরুজালেম বিজয়ের পর একটা বাহিনী হিন্দ (ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান) ও সিন্ধে (চীন, পাকিস্হান) পাঠাবেন যারা এসব দেশের রাজাদের শিকলে আবদ্ধ করে জেরুজালেমে নিয়ে আসবেন এবং ওদের জীবিতরা ঈসা (আ:) কে পাবেন ও দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন আর তেল আবিবের লূদে ঈসা (আ:) দাজ্জালকে হত্যা করবেন ইনাশাল্লাহ। (মুসলিম শরীফ – কেয়ামতের ফেতনা অধ্যায়, আবু দাউদ -৪ খন্ড, আল ফিতান, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)।