ক্ষমতার আগে অনেকে মজলুম, অসহায় থাকে তাই জনপ্রিয় হয়। অনেকে ক্ষমতা পেলে আলেম হোক, খেলায়োড় হোক বা প্রশাসনিক লোক হোক তাদের সুবিধাবাদী উগ্র চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠে।
মরা বাঘে লাথি মারা বীরত্ব নয় বরং পৈশাচিক উচ্ছাস জীবিত বাঘের সাথে লড়াই করাই বীরত্ব। শুধু সাবেক জালেম ক্ষমতাসীনদের উপর দোষ না ছাপিয়ে বর্তমান জালেম, দুর্নীতিবাজদের চরিত্র তুলে ধরা উচিত।
এমন এক পরিস্থিতি জাহেলরা মুমিনদের তাকফীর করে।জালেম, তাগুত স্বপ্ন দেখায় জুলুমমুক্ত রাষ্ট্রগড়ার।
আহ! সেই যুগ ছিল সাহাবীদের পেট খালি থাকতো, অন্তর তাকওয়া ও পরস্পর ভালোবসায় পরিপূর্ণ থাকতো। সামান্য খাদ্য সবাই ভাগ করে খেত। আজ কেউ ৫ তরকারির আহার করে, আর তার প্রতিবেশী উপোস থাকে। কেউ নেশার টাকা উড়ায়, অপরদিকে তার স্বজনরা বিনা চিৎকিসায় মারা যায়। কারো বিলাসবহুল বহু বাড়ি আছে, আবার কারো ফুটপাতেও জায়গা হয় না।
দোষ শুধু ক্ষমতাসীনদের নয় বরং জাহেলী সেই সিস্টেমগুলো যা ইসলামের সৌন্দর্যের বিপরীত জেনেও আমরা চর্চা করে যাচ্ছি। এসব সিস্টেমের ধারক, বাহকদের তোষামোদি করছে অনেকে। কার ওয়াজে কত মানুষ এই নিয়ে গর্বিত অথচ প্রকৃত ওয়াজ করলে (তাগুত, ক্ষমতাসীনদের বিরোধিতা করলে) ওয়াজের অনুমতি মিলবে কিনা সন্দেহ!
যুগের পর যুগ গণতন্ত্রসহ বহু মতবাদে নিজ দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়, হতাশ হয় না। ইসলামের নিয়ম মেনে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বললে তারা প্রশ্ন ছুঁড়ে – এভাবে হবে না, এগুলো অনেক সময়ের ব্যাপার!
এগুলো কি নেফাক নয়?
আপনার দল ক্ষমতা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই- অথচ আল্লাহ জানিয়েছেন বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠা পাবেই। আমরা কেন প্রচেষ্টা বন্ধ করবো? যদি জীবদ্দশায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা নাও হয় প্রচেষ্টার জন্য জান্নাত মিলবে।
সবাই যদি গাছ লাগানোর সময় এই ধারণায় দৃঢ় থাকতো ফল খাবার আগে আমরা মৃত্যু আসবে। গাছ রোপন করে লাভ কি? তাহলে পৃথিবী ফল, বৃক্ষশূন্য, মরুভূমি হতো। তাই আমরা ইসলামের বীজ বুনে যাবো – একদিন সেখান হতে মুমিনের অশ্রুসিক্ত দুআ (পানি), সবর (সার), প্রচেষ্টায় বেড়ে উঠবে। ইনশাআল্লাহ একদিন সাফল্যের ফসল আসবে।