চারপাশে মুসলিম দাবিদার, সবাই দাবি করে আল্লাহ ও তার রসুলকে (সা:)ভালোবাসে। তবু পরিস্থিতি কেন ভিন্ন? কেউ নিজ অর্থ, শ্রম, ইলম দ্বারা ইসলাম প্রচার করে গালি খায়, জেল ও জুলুমের শিকার হয়। আবার কেউ বক্তব্য দিয়ে জনপ্রিয় হয়, অর্থ আয় করে।
কুফর-শির্কের অর্থ বদলে যায় সময়ের সাথে। আগের শাসনামলে যা শির্ক-কুফর ছিল একই আইন বর্তমানে বিদ্যমান অথচ অনেক আলেমরা এমনভাবে প্রচার করছে যেন সবকিছু জায়েজ হয়ে গেছে।
আগে অনেকে গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল – তারা অনেকে আজ গনতন্ত্রের সমর্থক।
কারো ফাতওয়া – বর্তমান শাসক ও রাষ্ট্রের আইন মানা ফরজ। অথচ ইব্রাহিম (আ:), মুসা (আ:), রসুল (সা:) কখনও নমরুদ, ফেরাউন, আবু জাহেলদের কিতাবের আইনের আনুগত্য করেননি। বরং তারা এসব শাসকের বিরুদ্বে গিয়ে কঠোর দাওয়াহ দেন ও পরিশেষে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেন ও ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
মসজিদের ঈমাম সুদের সাথে জড়িত থাকলে তাকে চাকরিচ্যুত করে আর রাষ্ট্রপ্রধান সুদী ব্যাংকের মালিক হলেও তার প্রশংসা চলে। অথচ বর্তমানে অনেকে ইসলামী রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখায়- শাসককে ইসলামের পথে দাওয়াহ দিয়ে নয় বরং তাদের
আনুগত্য মেনে নিয়ে।
যারা ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পালন করে না তারা কি কখনও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক চাইবে?
আগে মূর্তি পাহারা দেওয়া, পহেলা বৈশাখ পালনকে ঘৃনার চোখে দেখা হতো। আজ ইসলাম ও শান্তির নামে অনেকে তা পালন করছে। কখনও গরীব দুঃখীর সাথে খাদ্য শেয়ার না করা যুবকও, সিগারেটের ক্ষেত্রে উদার। বন্ধুদের সাথে ধূমপান শেয়ার করে।
রাস্তার বখাটে ছেলেগুলো মুমিনকে উপহাসের সাহস পায়। দৃঢ়ভাবে ইসলাম মানা ও শরিয়া চাওয়া যেন- মাদকসেবা ও ধর্ষনের চেয়ে বড় অপরাধ! বহু মাদকসেবী, ধর্ষনের আসামীর সহজে জামিন মেলে- সমাজে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারে। আর শরিয়া চাওয়া যুবক বছরের পর বছর কারারুদ্ধ থাকে, সমাজে অনেকে তাদের ঘৃণার চোখে দেখে। স্বজনরা তার পরিচয় দিতে ভয় পায় যদি প্রশাসনের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে!