আল্লাহ বলেন-
“অর্থাৎ অবশ্যই আমি প্রত্যেক জাতির নিকট রসুল প্রেরণ করেছি এই প্রত্যাদেশ দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত হতে দূরে থাক।” (সুরা নাহল-৩৬)।
আল্লাহ রসুলদের পাঠিয়েছেন তাদের সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। তারা মানুষকে জাহান্নাম হতে সতর্ক করতো আর জান্নাতের সুসংবাদ দিত। যেহেতু রসুলগণ আর আসবে না এই দায়িত্ব আমাদের উপর অর্পন করা হয়েছে যে- আমরা সৎ কাজের আদেশ দিবো, অসৎকাজের নিষেধ করবো।
আর বিশ্বের বড় সৎকাজ মানুষকে জান্নাতের পথ দেখানো ও জাহান্নামের পথ হতে সতর্ক করা। অথচ আজ কতিপয় নামধারী মুসলিমরা সতর্ক করার বদলে অন্য ধর্মের মানুষের শিরকী আয়োজনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে যার অর্থ এরকম যেন যাও তোমাদের (শিরকের কারণে) জাহান্নামে স্বাগত জানাচ্ছি, চিন্তা করো না তোমাদের পিছে আমিও আছি।
এক বেদুইন রসুলের (সাঃ) নিকট ঈমান আনলেন তারপর তার লোকদের নিকট চলে গেলেন। তারা তার চারপাশে জমা হলে তিনি প্রথম কথা বললেন যে, তোমরা মিথ্যা দেবদেবীর পূজা কর। তারা বলল- দামাম চুপ কর, না হলে আমাদের দেবতা তোমাকে কুষ্ঠরোগ দান করবেন অথবা পাগল বানাবেন। সে বললঃ দুঃখ তোমাদের জন্য! তারা না পারে কোন উপকার করতে আর না পারে ক্ষতি করতে। আল্লাহ তাআলা রসুল এর নিকট কিতাব নাযিল করেছেন যেখানে তিনি তোমাদের এসব জিনিস হতে হেফাজত করেছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রসুল। আমি তোমাদের তাই আদেশ করছি যা তিনি আমাকে আদেশ দিয়েছেন এবং তাই নিষেধ করছি যা তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন।
(বুখারী, আসিরাহ আন নবউয়া লি ইবনে হিসান-৪/২২০)।
আপনার পরিচিত মানুষগুলো শিরকের কারণে জাহান্নামে যাবে, সতর্ক না করে বরং শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এটা কেমন মানবতা? আর একটা আয়াতের ভুল ব্যাখা করা হয়- “তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য আর আমার দ্বীন (জীবনবিধান) আমার জন্য।” (সুরা কাফেরুন)।
ইসলামে জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত করার বিধান নেই, প্রত্যেকে (মুশরিক) তার ধর্ম পালন করবে আর মুসলিমরা তার দ্বীন পালন করবে। আর মুসলিমদের দ্বীন ইসলামের নির্দেশ হল- যতদিন শির্ক থাকবে ততদিন শির্ক হতে সতর্ক করবে, আর যদি কেউ শিরক ত্যাগ করে মুসলিম হয় তার সুরাক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দিবে। পূর্বে এইরূপ উদাহরণ ছিল এবং ভবিষ্যতে আমাক ও দাবিকের মালহামার অন্যতম কারণ হবে নওমুসলিমদের সুরাক্ষায়।
যারা জানবে এই যুদ্ধে অধিকাংশ মুসলিমই শহীদ হবে তবুও মুসলিমরা নওমুসলিমদের হতে আলাদা হবে না। (মুসলিম শরীফ- কেয়ামতের ফেতনা অধ্যায়, আল ফিতান, আবু দাউদ)
