ইসলামকে ভালোবাসলে, সমর্থন করলে ও মানলে মুসলিম। আর শির্ক ও কুফরকে সমর্থন, শুভেচ্ছা জানালে মুশরিক। মুমিনের ইবাদতের মূল কারণ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি। মুমিন দুনিয়ার শত দুঃখ, কষ্ট সহ্য করে প্রিয় জিনিস ত্যাগ দেয় শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। অপরদিকে ইবলিস শয়তান আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করেও শুধুমাত্র তার ইচ্ছে পূরন করতে চায়। সেজন্য সে আল্লাহর নিকট দুআ করে।
আল্লাহপাক বলেন-
“তিনি (আল্লাহ) বলেন তুমি এখান হতে বের হয়ে যাও। কেননা নিশ্চয় তুমি বিতাড়িত। আর নিশ্চয় বিচার দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি আমার অভিশাপ বলবৎ থাকবে।
সে (ইবলিশ) বলল- আমাকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দিন যেদিন তারা পুনরুত্থিত হবে। তিনি (আল্লাহ) বললেন, আচ্ছা তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হলে, নির্ধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত। সে (ইবলিস) বলল- তোমার ইজ্জত্বের কসম! আমি তাদের সকলকে বিপদগামী করে ছাড়ব।
তাদের মধ্য হতে তোমার একনিষ্ঠ বান্দা ছাড়া। আল্লাহ বলেন- এটি সত্য আর সত্যই আমি বলি, তোমাকে দিয়ে আর তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে তাদের দিয়ে নিশ্চয় আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।” (সুরা সদ)।
প্রচলিত অনেক রাজনীতবীদের মধ্যে একই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান- তারা ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করে ও সাহায্য চায়। অপরদিকে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয় এমনসব শিরকী কর্মকান্ডকে শুভেচ্ছা জানায় ও সমর্থন করে। যারা ভাবে ও প্রচার করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য – ভোট পাবার আশায় মুশরিকদের শির্ক দিবসে শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ। তাদের আকীদা এইরূপ নয় কি- তাওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ শির্ক/মুশরিকের ভোট, সমর্থনের উপর নির্ভরশীল! নাউজুবিল্লাহ!
ইসলাম প্রতিষ্ঠা, টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আল্লাহর – বান্দা তার নির্দেশিত পথে প্রচেষ্টা চালাবে। প্রচেষ্টা অনুযায়ী জান্নাতের স্থান হবে আর উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ ক্ষমতা দিবেন।
