আমাদের পরিচয় হলো মুসলিম। কুরআন, রসুল (সা:), খেলাফায়ে রাশেদীন ও আহলে বায়াতের আদর্শই আমাদের আদর্শ। এছাড়া কোন দল/সংগঠন, ব্যক্তি ইসলামের দলিল নয়। যে কোন ব্যক্তি হক্ব বললেই তা মেনে চলা নৈতিক দায়িত্ব।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে দাওয়াহ। তা কখনো কোন ব্যক্তি/সংগঠন, দলের উপর নির্ভরশীল নয়। তাওহীদের দাওয়াত নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা আলেম-ওলামার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং প্রতিটি মুসলিম যারা জেনে বুঝে ইসলাম গ্রহণ করেছে, দাওয়াহ দেওয়ার অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু আবেগী জাতির অনেকের মনোভাব এমন- তাদের আলেম যা বলে বা করে সবই সঠিক মনে করে। তাদের কর্মকাণ্ড কুরআন, সুন্নাহর বিপরীত হলেও সমালোচনা করা যাবে না।
অথচ আল্লাহ বলেন-
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। (সুরা আল ইমরান-১১০)
ধরুন আপনার প্রতিবেশী, নিকট আত্মীয় বা নিজ গৃহে আগুন লাগলো, আপনি কি ফায়ার সার্ভিসের অপেক্ষায় থাকবেন শুধু যেহেতু আগুন নেভাতে তারা দক্ষ? অথচ ওদের অপেক্ষায় থাকলে হয়তো আপনার আমার প্রাণের স্বজন পুড়ে মারা যেতে পারে, নাকি নিজেও যথাসম্ভব সার্মথ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবেন আগুন নেভানোর! একটু ভাবুন কোনটা উত্তম ও প্রকৃত মুসলিমের দায়িত্ব।
ঠিক তেমনি আমাদের চারপাশে অনেকে হয়তো ইলমের অভাবে কুফর, শিরকে লিপ্ত, তাওহীদের সঠিক ধারণা পৌঁছে নি। সেজন্য কি আমি, আপনি আলেমদের জন্য অপেক্ষা করবো শুধু? যাতে তারা কুফর, শিরকে লিপ্ত হয়ে মৃত্যুবরন করে জাহান্নামের আগুনে জ্বলে! নাকি সঠিক তাওহীদের দাওয়াত দিবেন যেন তারা দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে জান্নাতে আমাদের সাথী হতে পারে।
আবার ধরুন- প্রশাসনের (ইসলামী প্রশাসন) দায়িত্ব হল – আমাদের জানমাল, ইজ্জত রক্ষার চেষ্টা করা! অথচ প্রশাসনের কোন লোক যদি তা না করে উল্টো আমার আপনার বোন, মেয়ের ইজ্জত হরনের চেষ্টা করে আপনি কি নির্বিকার দেখবেন যেহেতু আপনি কোন প্রশাসনের লোক নন! নাকি প্রতিরোধ করবেন?
তেমনি যখন পথভ্রষ্ট আলেম জালেমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শিরক, কুফর ছড়ায় তখন দ্বীন ইসলাম জানা মুসলিমের দায়িত্ব হল সত্য জানানো, প্রতিবাদ ও সামর্থ্য থাকলে প্রতিরোধ করা।
রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ ‘এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি।’ তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম, ‘হে আল্লাহ্র রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের চাইতেও অধিক ভয় করেন?’ তিনি [রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, ‘পথভ্রষ্ট ’আলিম গণ।’” (মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং. ২০৩৩৫)।
আমার আপনার মা, বোন, স্বজনের জীবনের চেয়ে তাওহীদের মূল্য অনেক বেশি! মুসলিম জানমাল, পরিবার সবকিছু বিসর্জন দিত তাওহীদ প্রতিষ্ঠায়!
আল্লাহ বলেন-
বলুন, তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তার রাসূল এবং তাঁর (আল্লাহর) পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশী প্রিয় হয় তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের আপনগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশংকা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহ্ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না। (সুরা তওবা-২৪)
আবার অনেকে ইসলামের দাওয়াতকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়বস্তুর উপর সীমাবদ্ধ রেখেছে! জেহাদ, আহলে বায়াত, খেলাফত, রাজতন্ত্র এসব আলোচনা করলে নাকি ফেতনা ছড়াবে! তাই অন্যদের দাওয়াতে বাধা দেয়। ভাই, আগে বুঝেন- কুরআন, সুন্নাহে এমনকিছু নেই যে আলোচনা করলে ফেতনা ছড়াবে।
এমন যদি হতো, রসুল (সা:) ও সাহাবীরা হাদীস বর্ণনা ও ব্যাখা করতেন না! বরং ইসলাম মিথ্যাকে ধ্বংস করে, ফেতনামুক্ত করে, সত্য প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখে!
আল্লাহ বলেন –
বল, ‘সত্য এসে গেছে আর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই। (সুরা বনী ইসরায়েল -৮১)
কুরআনে এসেছে –
নিশ্চয় তা (কুরআন সত্য-মিথ্যার) পার্থক্যকারী বাণী। (সুরা আত্ব তারিক -১৩)
তাই কুরআন, সুন্নাহর সাথে মিলে এমন সকল মতবাদ আমাদের গ্রহণ করতে হবে, আর বিপরীত সকল মতবাদ পরিতাজ্য তা যেই বলুক না কেন!
যারা তাগুত, আল ওয়ালা ওয়াল বারা, খেলাফত, আহলে বায়াতের ফজিলত বর্ণনা করে না যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তারা আসলে কি ইসলামের খেদমত করছে? না জনপ্রিয় হওয়া ও অর্থ কামানো তাদের মূল লক্ষ্য?
‘জালেম শাসকের বিরুদ্ধে সত্য বলা উত্তম জেহাদ’ বলা অনেকে জালেম শাসকের বিরুদ্ধে নিরব। আবার সামান্য ইখতিলাফে একে অপরকে তাকফীর করে। জালেম শাসকের বিরুদ্ধে বললে খারেজী অভিহিতকারী দেওয়া অনেকে আবার – মূর্তি রক্ষা, মূর্তিপূজারী ও মাজারের নামে শির্ক চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রে সদয় মনোভব রাখলেও মুসলিম পরিচয়দানকারী অন্যান্য ভাইদের উপর রক্তাক্ত সংঘর্ষের আহ্বান করে। অথচ দেশের বহু লাইসেন্সকৃত মদ, জুয়া, পতিতালয় রয়েছে, তারা এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে ততটা কঠোর অবস্থান নেয় কি?
কেয়ামত পর্যন্ত কুরআন, সুন্নাহ ব্যতীত অন্য কাউকে আদর্শ মানলে জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না বরং দলে দলে বিভক্ত হবে।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মুসলিমরা কুরআন দ্বারা শাসন করতো। কোন সমস্যা হলে পারস্পরিক আলোচনা করে সমাধান করতো। ধীরে ধীরে চেপে বসা রাজতন্ত্রে ইসলামী আইনগুলো উঠে যায়, এরই সুযোগ নিয়ে ইংরেজ, ফ্রান্স, পশ্চিমরা আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। মুসলিমরা পরস্পর বিভক্ত হয়ে যায়। পরস্পর সংঘর্ষ, লড়াই হলে কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখানো লোকগুলো মানবরচিত আইনে কাফের, মুশরিকদের কাছে অপর মুসলিম পরিচয়দানকারীর বিরুদ্ধে মামলা করতো ও হামলা করতো। এভাবে যারা ছিল মুসলিমদের শত্রু, মুসলিমদের পারস্পরিক সংঘর্ষে তারাই মুসলিমদের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ পেয়ে গেল।
আজও উম্মাহ সে পথে হাটছে। কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখানো লোকগুলো মানবরচিত আইনে অপর মুসলিম ভাইদের বিচার চাইছে তাগুত ও জালেম শাসকের কাছে। যখনি কেউ জালেম শাসকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়, রসুল (সা:) তার স্ত্রী অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে চায়। তারা এসব প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি তৈরি করে শাসকদের জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
একদল যখন আহলে বায়াতের ফজিলত বর্ণনা করে তখন অন্যদল লোকেরা সাহাবীদের মর্যাদার নামে সংস্থা খুলে শুধু এক সাহাবীর ফজিলত বর্ণনা করে প্রমাণ করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে যারা বলে তারা ইসলামের শত্রু, কাফের, খারেজী, রাফেজী। অথচ মক্কা বিজয়ের আগে হাজারোও উত্তম সাহাবীর ত্যাগ রয়েছে, তাদের নাম ও ভূমিকা বর্ণনা করে না। আর মুনাফেক মারওয়ান, বনু উমাইয়ার ষড়যন্ত্রের কথা গোপন রেখে শুধু এককভাবে ইহুদিদের দায়ী করে।
আজও আমাদের বুঝানো হয় ইহুদি, কাফেররা একমাত্র শত্রু, ওদের ষড়যন্ত্রে আমরা বিভক্ত। অথচ ক্ষমতালোভী মুনাফেকদের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে না।
আহমাদ ইবন মানী’ (রহঃ) ….. সাফীনা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের খিলাফত হবে ত্রিশ বছর। এরপর হবে বাদশাহী। সহীহ, সহিহাহ ৪৫৯।
ইউসুফ ইবনু মাহাক থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, মারওয়ান ছিলেন হিজাযের গভর্নর। তাকে নিয়োগ করেছিলেন মু’আবিয়াহ (রাঃ)। তিনি একদা খুতবা দিলেন এবং তাতে ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়ার কথা বারবার বলতে লাগলেন, যেন তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তার বায়’আত গ্রহণ করা হয়। এ সময় তাকে ‘আবদুর রহমান ইবনু আবু বকর কিছু কথা বললেন। মারওয়ান বললেন, তাঁকে পাকড়াও কর। তৎক্ষণাৎ তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে চলে গেলেন। তারা তাঁকে ধরতে পারল না।
তারপর মারওয়ান বললেন, এ তো সেই লোক যার সম্বন্ধে আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন, “আর এমন লোক আছে যে, মাতাপিতাকে বলে, তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে এ ভয় দেখাতে চাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব যদিও আমার পূর্বে বহু পুরুষ গত হয়েছে, তখন তার মাতাপিতা আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমার জন্য। বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য। কিন্তু সে বলে এ তো অতীতকালের উপকথা ব্যতীত কিছুই নয়।” (একথা শুনে উম্মুল মুমিনীন “আয়েশা (রা:) পর্দার আড়াল থেকে বললেনঃ “আল্লাহ্ আমাদের ব্যাপারে কুরআনে কিছুই নাযিল করেন নি, কেবলমাত্র আমার নির্দোষিতা ছাড়া”)।
সুনানুন নাসাই আল কুবরা ও মুসতাদরাক লিল হাকিমের বর্ণনায়ঃ
মুহাম্মাদ বিন যায়দ বর্ণনা করেন যে যখন মু’আবিয়াহ তার ছেলের জন্য বায়আত নিচ্ছিলেন, মারওয়ান বললঃ “এটি আবু বাকার ও উমারের সুন্নাহ”। “আব্দুর রহমান জবাব দিলেনঃ “এটি হারকাল ও কায়সারের সুন্নাহ্”। তখন মারওয়ান বললঃ “এই সেই ব্যক্তি, যার ব্যাপারে কুরআনে অবতীর্ণ হয়েছে, আর এমন লোক আছে যে, মাতাপিতাকে বলে, তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে এ ভয় দেখাতে চাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব যদিও আমার পূর্বে বহু পুরুষ গত হয়েছে, তখন তার মাতাপিতা আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমার জন্য। বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য। কিন্তু সে বলে এ তো অতীতকালের উপকথা ব্যতীত কিছুই নয়। [সুরা আহক্বাফ ৪৬:১৭] ।
একথা শুনে ‘আইশাহ্ বললেনঃ “আল্লাহর কসম! সে মিথ্যা বলেছে, আল্লাহ্ এই আয়াত আমাদের ব্যাপারে অবতীর্ণ করেননি। আর আমি যদি চাই, তাহলে বলতে পারি এই আয়াত কার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আমি আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মারওয়ান ও তার পিতার ওপর লা’নত করতে শুনেছি, যখনও মারওয়ান জন্ম নেয়নি। কাজেই, মারওয়ান আল্লাহর লা’নতের ভাগীদার”।
সুনানুন নাসাই আল কুবরাঃ ১১৪৯১, মুস্তাদরাক লিল হাকিমঃ ৮৪৮৩, ইমাম হাকিম বলেনঃ হাদিসটি বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ).।
ইসলামের জন্য উসমানের (রা:) অবদান ছিল সর্বোচ্চ। তার হত্যাকে কেন্দ্র করে ফেতনা উদ্ভব হয়। বনু উমাইয়ার অনেকে তার হত্যা ইস্যুকে নিজের ক্ষমতার স্বার্থে ব্যবহার করেন।
যে কেউ তাদের বিরোধীতা করলে উসমানের (রা:) হত্যাকারী দলের লোক বলে অপবাদ দিত এমনকি হত্যা করত। যে তালহা (রা:) উসমানের (রা:) রক্ষায় দৃঢ় ছিলেন, উসমান (রা:) হত্যার বিচারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত মুনাফেকের ষড়যন্ত্রে যুদ্ধে নেমেছিলেন তাকে হত্যা করা হয়।
বিন আয়াস জাবী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আমরা জামালের যুদ্ধের দিন হযরত আলীর সাথে ছিলাম। হযরত আলী (রাঃ) তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) কে তার সাথে দেখা করার জন্য বার্তা পাঠালেন। হযরত তালহা (রা.) তাঁর কাছে এলেন। হযরত আলী (রা.) বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহর কসম করে জিজ্ঞেস করছি, তুমি কি আল্লাহর রসূল (সা.)-এর পবিত্র জবান থেকে এই কথাগুলো শুনেছো? রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন আমি যার মাওলা (অভিভাবক) আলীও তার মাওলা (অভিভাবক)। হে আল্লাহ যে আলীকে সাহায্য করে আপনিও তাকে সাহায্য করুন এবং যে আলীর সঙ্গে শত্রুতা করে আপনিও তার সাথে শত্রুতা করুন। তালহা বললেনঃ হ্যাঁ। হযরত আলী বললেন, তাহলে আমার সাথে যুদ্ধ করছ কেন? হযরত তালহা (রা.) বললেন, আমার মনে ছিল না। এরপর হযরত তালহা (রা.) ফিরে গেলেন। (আল মুসতাদরাক হাকিম-৫৫৯৪)
অপর বর্ননায় রয়েছে –
কায়স বিন হাযিম বর্ণনা করেন: “আমি মারওয়ান বিন হাকামকে দেখেছি তালহা কে তীর দ্বারা আঘাত করতে, যা তার হাঁটুতে বিদ্ধ হয় এবং তিনি শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহর প্রশংসা করতে করতে ইন্তিকাল করেন। [মুসতাদরাক হাকিম: ৫৫৯১, ইমাম হাকিম এবং যাহাবি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন]।
মুমিন প্রতিটি সাহাবী, আহলে বায়াতের উপর শ্রদ্ধাশীল!
প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব নবী, রসুল, সাহাবী, আহলে বায়াতের জীবনী আলোচনা করা। এর জন্য আলাদা দল, সংগঠন কি প্রয়োজন আছে না তাদের একক দায়িত্ব?
আমাদের সতর্ক থাকা উচিত – সকল ষড়যন্ত্র হতে।