দাঁড়ির বিভ্রান্তি

প্রায় শোনা যায় নামধারী মুসলিমরা মুসলিমদের দাড়ি নিয়ে উপহাস করে এবং অনেকের মনে ধারনা যুবক বয়সে দাড়ি না রেখে পড়ন্ত যৌবনে দাড়ি রাখা উত্তম। কে মহাজ্ঞানী আল্লাহ না আপনারা? আল্লাহ যেদিন হতে মুখে দাড়ি দিয়েছেন সেদিন হতে দাড়ি রাখা বিধান করেছেন। কারো মনে এই ভাবনা যে দাড়িহীন তাকে সুন্দর লাগে অথচ আল্লাহ ইসলামকে সুন্দর ও কল্যানকর ঘোষনা করেছেন। কাফেররা যদি নারীদের কাছে প্রিয় হতে গিয়ে দাড়ি কাটতে পারে আমরা কেন আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার জন্য দাড়ি রাখতে লজ্জা পাবো। রসুলুল্লাহ (সাঃ) ঐ সব পুরুষকে লানত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে। (বুখারী-৫৪৫৭)। দাড়ি পুরুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য আর দাড়িহীন ত্বক নারীর বৈশিষ্ট্য। যারা মুসলিমের দাড়ি রাখাকে অপছন্দ করেন তারা মূলত আল্লাহর বিধানকে অপছন্দ করে কাফেরে পরিণত হয়েছে। আর আজ যারা আমাদের দাড়ি রাখতে বাধা দিচ্ছে নিশ্চিত থাকুন একদিন তারা আমাদের জেহাদের পথে বাধা দিবে। তখন কি জেহাদ ছেড়ে জান্নাত হতে নিজেকে বঞ্চিত করবেন কিনা ভাবুন।

“আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, তোমরা যে কাফের হয়ে গেছ ঈমান প্রকাশ করার পর। তোমাদের মধ্যে কোন কোন লোককে যদি আমি ক্ষমা করে দেইও, তবে অবশ্য কিছু লোককে আযাবও দেব। কারণ, তারা ছিল গোনাহগার। (সূরা তওবা- ৬৫, ৬৬)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *