জিন বন্দী করা

কুরআন দ্বারা জিন তাড়ানো যায় কিন্তু ওকে বোতলবন্দী করা ও হত্যা করা এগুলো মিথ্যাচার। সাহাবী, তাবেয়ী দ্বারা এরুপ দলিল নেই। সোলেইমান (আ:) কে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছিলেন জিন বন্দী করার। আর রসুল (সা:) ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও সোলেইমানের (আ:) দোয়ার প্রতি সম্মান প্রর্দশন করে জিন ছেড়ে দেন।

“সুলায়মান বললেন, হে পরিষদবর্গ, তারা আত্নসমর্পণ করে আমার কাছে আসার পূর্বে কে বিলকীসের সিংহাসন আমাকে এনে দেবে? জনৈক ইফরিত-জিন বলল, আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বে আমি তা এনে দেব এবং আমি একাজে শক্তিবান, বিশ্বস্ত।” (সুরা নামল ৩৮-৩৯)

সুলায়মান (আঃ) জেরুজালেম হতে শাসন করতেন অপরদিকে রানী বিলকীসের সিংহাসন ছিল ইয়েমেনের সাবায় যা বর্তমানে মারিব নামে পরিচিত। কয়েকশো মাইলের দূরত্ব স্বত্বেও দ্রুত সিংহাসন এনে দেওয়ার কথা প্রমাণ করে ইফরিত জ্বিন দ্রুতগতি সম্পন্ন ও শক্তিশালী। অনেক আলেমদের অভিমত- তারা কোন বস্তুকে চোখের আড়াল করে অন্যখানে নিয়ে যেতে পারে এজন্য জাদুকররা জাদুর জন্য ওদের সাহায্য নেয়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “গতকাল রাতে আমার সালাত নষ্ট করার জন্য জ্বিনদের মধ্য হতে এক ‘ইফরীত’ (জিন) থু থু নিক্ষেপ করেছিল। তবে আল্লাহ তাআ’লা তার উপরে বিজয়ী হতে আমাকে সাহায্য করেছেন। সকালে তোমাদের সবাইকে দেখানোর জন্য আমি তাকে মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলাম। তারপর আমার ভাই সুলায়মানের দোয়ার কথা আমার মনে পড়ল। (আমার ভাই সুলায়মান আল্লাহর কাছে এই বলে দুয়া করেছিলেন), “হে আমার মালিক, (আমি যদি কোনো ভুল করি তাহলে) তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি আমাকে এমন এক সম্রাজ্য দান করো, যা আমার পরে আর কেউ কোনোদিন পাবে না, তুমি নিশ্চয়ই মহানদাতা।”( সুরা সোয়াদঃ ৩৫।)” সহীহ বুখারীঃ ৭৫, সহীহ মুসলিমঃ ১১০৪।