জালেমের জুলুম যত বাড়ে পতন তার তত দ্রুত আসে!

নবী, রসুলরা যখনি তাওহীদের দাওয়াহ দেন, জুলুমের বিরোধিতা করেন তখন অল্প কিছু সংখ্যক ঈমান আনে বাকীরা ঈমান না এনে জুলুম বাড়িয়ে দেয়। অবশেষে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেন।

আল্লাহ কুরআনে বলেন-

সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯০)

প্রতিটি যুগে দেখা যায় বিগত ক্ষমতাসীনদের জুলুমের গল্প শুনিয়ে কিছুলোক ক্ষমতায় এসে নিজেরা জালেম বনে যায়। তখন তাদের বিরোধিতা করলে দেশদ্রোহী, বিগত শাসকের দালাল অভিহিত করে যা ফেরাউনদের আদিনীতি।

জাতিকে বিভক্ত করা

আল্লাহ বলেন,

“ফেরাউন তার দেশে উদ্ধত হয়েছিল এবং সে দেশবাসীকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে তাদের একটি দলকে দূর্বল করে দিয়েছিল। সে তাদের পুত্র-সন্তানদেরকে হত্যা করত এবং কণ্যা সন্তানদেরকে জীবিত রাখত। নিশ্চয় সে ছিল অনর্থ সৃষ্টিকারী।” (সুরা কাসাস – ২৮:৪)।

মুসা (আঃ) ও হারুন (আঃ) যখন ফেরাউনদের শিরকী নিয়মনীতি বাদ দিয়ে এক আল্লাহর দিকে আহ্বান করছিল তখন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ তুলে। এমনকি জাদুকররা ঈমান আনলেও একই অভিযোগ তুলে।

কুরআনে বর্নিত:

সে বললঃ হে মূসা, তুমি কি যাদুর জোরে আমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার জন্যে আগমন করেছ?
(সুরা ত্বাহা-৫৭)

সুরা আরাফে আছে –

ফেরাউন বলল, তোমরা কি (তাহলে) আমার অনুমতি দেয়ার আগেই ঈমান আনলে! এটা প্রতারণা, যা তোমরা এ নগরীতে প্রদর্শন করলে। যাতে করে এ শহরের অধিবাসীদিগকে শহর থেকে বের করে দিতে পার। সুতরাং তোমরা শীঘ্রই বুঝতে পারবে। (আয়াত-১২৩)।

আজও ফেরাউনদের রাষ্ট্রীয় শিরকী নিয়মনীতির বিরোধিতা করলে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ হামলা/মামলা দেয়। ফিরাউনদের সংসদ ও সভাসদ থাকলেও, তারা নিজেরাই চিরকাল স্বৈরাচারী আইনপ্রণেতা ছিলেন। তাদের কথা, নির্দেশেই আইন হতো যা ফেরাউনের সেনাবাহিনী কার্যকর করতো।

তাদের দ্বীন, আদর্শের বিরোধিতা করে কেউ সত্য দ্বীন মানলে হত্যার নির্দেশ হতো যদিও তারা একসময় তাদের অতি ঘনিষ্ঠ ছিল (আদেশ মেনে)।

সুরা আরাফে এসেছে,

তারা বলল, (জাদুকররা) আমরা ঈমান আনছি মহা বিশ্বের প্রতিপালকের প্রতি যিনি মূসা ও হারুনের প্রতিপালক। ফেরাউন বলল, তোমরা কি (তাহলে) আমার অনুমতি দেয়ার আগেই ঈমান আনলে! এটা প্রতারণা, যা তোমরা এ নগরীতে প্রদর্শন করলে। যাতে করে এ শহরের অধিবাসীদিগকে শহর থেকে বের করে দিতে পার। সুতরাং তোমরা শীঘ্রই বুঝতে পারবে। অবশ্যই আমি কেটে দেব তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে। তারপর তোমাদের সবাইকে শূলীতে চড়িয়ে মারবে। (১২১-১২৪)

আজও দেখবেন সামান্য দাবির জন্য আন্দোলন করলে আইন, আদালত, সভাসদ থাকা স্বত্বেও তারা নির্বিচারে গুলি, হত্যার নির্দেশ দেয়।

ফেরাউন ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের আদর্শ আজও ক্ষমতাসীনদের মাঝে রয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *