কাউকে যদি বলা হয়- আপনি আর একটি কুকুরের মূল্য/অধিকার সমান কিংবা কুকুরের অধিকার আপনার থেকে বেশি। এটা তার জন্য কতটা অপমানজনক মনে হবে। কিছু মানুষ যাদের চরিত্র আবু জাহেল, ফেরাউন, নমরুদ ও মুনাফেকদের মতো যারা পশুর চেয়েও অধম। অথচ একই জিনিস আপনি মেনে নিচ্ছেন গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতিতে।
আল্লাহ মুমিনদের সম্মানিত করেছেন। মুমিন আর কাফেরদের সম্মান একই হতে পারে না। তবে উভয়ে নিরাপদে থাকতে পারবে ইসলা-মী রাষ্ট্রেে। এমনকি হিজরতের পূর্বে ঈমান আনা সাহাবী (রাঃ) ও বদর, ওহুদ ও মক্কা বিজয়ের পর ঈমান আনা সাহাবীর (রা:) মর্যাদা এক নয়। বরং প্রথম অবস্থায় ঈমান আনা সাহাবী (আবু বকর রা, উমর রা, উসমান রা, আলী রা) মর্যাদায় বেশি। খেলাফাহ রাশেদীনের নির্বাচনে তাদের ভূমিক বা রায় দেওয়ার অধিকার ছিল।
অনেকে নিজেদের ক্ষমতার লোভে/স্বার্থে ইসলামী পবিত্র খেলাফাহ আর বর্তমান কুফরী গণতন্ত্রের সাথে তুলনা করে নাউজুবিল্লাহ। অথচ দুটোর মধ্যে আকীদাগত পার্থক্য বিদ্যমান-
খেলাফাহ হল ইসলামী শাসনব্যবস্থা যা কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস দ্বারা শাসিত হবে। যেখানে বিধানদাতা আল্লাহ। নেতা নির্বাচন করা হয় – যে কুরআন, সুন্নাহ দ্বারা শাসন করবে আর বিপরীত আইন প্রয়োগের অধিকার দেওয়া হয় না। অপরদিকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসক জনগণ বা নির্দিষ্ট সদস্যের মত অনুযায়ী আইন তৈরির অধিকার পায়। ফলে তারা আল্লাহর হালালকৃত বস্তুকে হারাম ও হারামকে হালালে পরিণত করে।
প্রকৃতপক্ষে খেলাফাহ হল- আল্লাহর অধীন শাসনব্যবস্থা আর গণতন্ত্র হল জনগণ/শাসকদের ইচ্ছের অধীন শাসনব্যবস্থা। খেলাফাহ শুধুমাত্র মুসলিমদের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের রায় হতে নেতা নির্বাচন করা হয়, অন্যরা বায়াত নিবে। আর খলিফা কোরাইশ থেকে হতে হবে (মুসলিম শরীফ, বুখারী)। এই নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট আছে।
আর গণতন্ত্রে কাফের, মুশরিক, ধর্ষক, সুদখোর, পুজিবাদী, নাস্তিক, মুনাফেক সবাই একটি ভোটের অধিকার লাভ করে। ফলে নিকৃষ্ট ব্যক্তিরা কি উৎকৃষ্ট মুসলিমকে ভোট দিবে?
প্রকৃত মুসলিম ক্ষমতা পেলে ওদের সুদের ব্যবসা, জেনার অধিকার বন্ধ করে দিবে। মানে আবু বকর (রা:) এর যে অধিকার, আবু জাহেলদেরও নেতা নির্বাচনের সেই একই অধিকার। আচ্ছা আবু জাহেলরা ইসলামই গ্রহন করেনি, ইসলাম দ্বারা শাসনব্যবস্থা কিভাবে মেনে নিবে?
ইসলামে গভর্নর, রাষ্ট্র কর্মকর্তা, সেনা নিয়োগ হতো মুসলিমরা। কারণ শাসনব্যবস্থা ছিল ইসলাম। কাফেরের ইসলাম সম্পর্কে ইলম ও ভালোবাসা নেই সে কিভাবে শাসনব্যবস্থার অংশ হবে? অপরদিকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মুনাফেক, কাফের, চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ সবাই পদ-পদবি পায়।
কোন নির্দিষ্ট দল, ব্যক্তি বিরোধিতা করা আমাদের লক্ষ্য নয় বরং অনেক ভাই আছে যারা অনেক আমল, ত্যাগ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ভুল পথে চেষ্টা করলে বৃথা যেতে পরে তাই সতর্ক করা।