ক্রিকেট ও ইসলাম

প্রায় দেখা যায় আমরা আমাদের তারকা খেলোয়াড়দের জোর করে ধার্মিক বানাতে ব্যস্ত থাকি যে মুসলিম ক্রিকেটার century করার পর সিজদাহ দিচ্ছে মাটিতে বা তারা রোযা রেখে খেলছে। কিন্তু এমন অজ্ঞতা আমাদের মাঝে বিরাজ করছে যে আমরা সহজ জিনিসগুলো খেয়াল করি না। ফকীহগণ ঐক্যমত টাকা, অহংকার বা সম্মানের দাবিতে যেসব খেলা হয় তা হারাম। আর খেলার শুরু জাতীয় পতাকাকে দাড়িয়ে সম্মানের মাধ্যমে অথচ রাসুলের (সা:) পতাকা হল কালেমার পতাকা কোন জাতীয়তাবাদের না। রাসুল (সা:) কেও দাড়িয়ে সম্মান করা হারাম ছিল, আর যে ব্যক্তিকে সম্মান করে দাড়ানো হয় সে যদি খুশি হয় তার স্হান জাহান্নাম (তিরমিযি ২৭৫৪-৫৫, আবু দাউদ, বুখারী -৩০৪৩, মুসলিম ১৭৬৮)। কারণ দাড়িয়ে সম্মান পাওয়ার যোগ্য শুধু আল্লাহর, সালাতে বান্দা দাড়িয়ে আল্লাহর হামদ (প্রশংসা) ও আনুগত্যের স্বীকৃতি দেয়। সেখানে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতকে দাড়িয়ে রাষ্ট্রের হামদ (প্রশংসা) ও আনুগত্যের স্বীকৃতি দেয়। Century করার পর দাড়িয়ে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে এসব খেলায়। তার উপরে জার্সিগুলো হল প্রাণীর ছবিতে ভরা যা শিরকের প্রতীক। আর জাতীয় সংঙ্গীতে বলা হচ্ছে তোমার আকাশ, তোমার বাতাস অথচ আকাশ, বাতাস বাংলার নয় আল্লাহর। কোন ক্রিকেটার বা সম্মানিত কেউ মারা গেলে কালো ব্যাজ লাগানো, এক মিনিট নিরবতা পালন করা যা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় রীতি। খ্রিস্টানরা মনে করে কেউ মারা গেলে যিশু তার আত্মা নিতে আসে তাই তারা সম্মান জানাতে নিরবতা পালন করে যা সরাসরি শিরক। অথচ খেলোয়াড়দের প্রায় এসব রীতি মানতে দেখা যায়। এছাড়া খেলাগুলো পরিচালিত হয় জাতীয়তাবাদের পরিচয়ে যে ব্যাপারে রসুলের (সাঃ) বহু সতর্কবাণী রয়েছে- যে ব্যক্তি জাতীয়তাবাদের উপর মৃত্যুবরন করে, আহ্বান করে, জাতীয়বাদের জন্য হত্যা করে তার স্হান জাহান্নাম (আবু দাউদ)। তাই খেলা ও খেলোয়াড়দের শুধু খোলোয়াড় হিসেবে দেখুন। জোর করে ওদেরকে দ্বীনদার প্রমাণ করাটা বোকামী, আর কোন হারাম কাজকে আলহামদুলিল্লাহ বলে সম্মান জানানো হারাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *