রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- মাহাদী আমার আহলে বায়াত (পরিবার) হতে আগমন করবে। (মুসনাদে আহমদ- ১ খন্ড, পৃ-৪৪৪)। খলিফা মাহাদী, আলী (রাঃ) ও ফাতেমা (রাঃ) এর বংশধর হতে আসবে এই ব্যাপারে সবাই একমত। রসুল (সাঃ) বলেছিলেন- আলী (রাঃ) এর অবস্থা হবে ঈসা (আঃ) এর অনুরূপ। ঈসা (আঃ) এর সাথে শত্রুতা, অপবাদ দিয়ে ইহুদিরা পথভ্রষ্ট হয় আর ভালোবাসার নামে বাড়াবাড়ি করে খ্রিস্টানরাও পথভ্রষ্ট হয়। তেমনি আলী (রাঃ) এর সাথে শত্রুতা ও অপবাদ দিয়ে একদল পথভ্রষ্ট হয় আর খ্রিস্টানদের মত আলীকে (রাঃ) নিয়ে বাড়াবাড়ি করে শিয়ারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।এছাড়া আল ফিতানের হাদীসে রয়েছে- রসুলের (সাঃ) পরবর্তীতে তার বংশধরদের উপর নির্যাতন, হত্যা ও দেশ হতে বের করে দেওয়া হবে। এরপর মাহাদী আসবে, মাহাদী আসার পূর্বে সুফিয়ানী বাগদাদ, মসুল ও মদীনায় বনু হাশেমসহ রসুলের (সাঃ) বংশধরদের ব্যাপাকহারে হত্যা করবে, নিশ্চয় অপবাদও দেওয়া হবে। আল্লাহ আলীী (রাঃ) বংশধর হতে খলিফা মাহাদীকে পাঠিয়ে দীর্ঘদিন হতে চলে আসা দ্বন্দ্ব, শত্রুতা-অপবাদ, ভালোবাসার নামে শিরকের অবসান ঘটাবেন। তাই খলিফা মাহাদী ক্ষমতা নেওয়ার পর ইনশাআল্লাহ শিয়া-সুন্নী নয় সবার পরিচয় হবে মুসলিম। তাই পাথরও বলে উঠবে- হে মুসলিম! (কোথায় আছো আল্লাহর বান্দা) আমার পিছে ইহুদি লুকিয়ে আছে (মুসলিম শরীফ- কেয়ামতের ফেতনা অধ্যায়)। এটা আল্লাহর চিরন্তন নীতি মজলুম বা তার স্বজনদের দ্বারা জালেমের পতন ঘটান, মজলুমদের ক্ষমতা দেন। ফেরাউনও মানুষকে বিভিন্ন দলে দলে বিভক্ত করেছিলো, বনী ইসরায়েল জাতিকে দুর্বল ও দাসে পরিণত করেছিলো। আল্লাহ তাদের উদ্ধার করতে ও ক্ষমতা দিতে মুসাকে (আঃ) পাঠান। আল্লাহ বলেন- “দেশে যাদের দুর্বল করা হয়েছিল, আমার ইচ্ছা হল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার, তাদেরকে নেতা করার ও তাদেরকে দেশে উত্তরাধিকারী করার। এবং তাদেরকে দেশের ক্ষমতায় আসীন করার এবং ফেরাউন, হামান ও তাদের সৈন্যবাহিনীকে তা দেখিয়ে দেওয়ার, যা তারা সেই দুর্বল দলের তরফ হতে আশংকা করত (সুরা কাসাস-৫, ৬)। মুসা (আঃ) ক্ষমতা নিবে এই আশংকায় ফেরাউন কত শিশু হত্যা করে, তদ্রূপ খলিফা মাহাদী আসবে, ক্ষমতা নিবে এই আশংকায় সুফিয়ানীসহ ও বাকী শত্রুরা আহলে বায়াতের বহুলোককে হত্যা করবে, অপবাদ দিবে। অনেক আলেমদের অভিমত- ঈসা (আঃ) মজলুম। কারণ তাকে ও মরিয়ম (আঃ) কে অপবাদ দেওয়া হয়, বাড়াবাড়ি করে শিরক করা হয়। এমনকি দাজ্জালও তার নামে অপবাদ দিবে সে-ই ঈসা মাসীহ। তাই আল্লাহ আসল মাসীহ ঈসাকে (আঃ) দিয়ে তাকে হত্যা করাবেন। আর তখন তাকে কেন্দ্র করে যে দুই ধর্মের বাড়াবাড়ি ছিলো পৃথিবী হতে এই দুই ধর্ম কেয়ামত পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাবে।