আকীদা বিশুদ্ধ নয়, কুফরী ছড়ায় এমন বক্তাকে এনে অর্থ ও সময় কেন নষ্ট করেন!!? তারপর বহু আলেম হয়তো মানসিকভাবে সুস্থও নয়। তাদের আগে চিৎকিসার ব্যবস্থা ও দুয়া প্রয়োজন। কেন তাদের ওয়াজ করতে দিয়ে মিথ্যাচার ও কাফেরদের পর্যন্ত আমাদের উপহাসের সুযোগ দিবেন!?
আমরা কখনও কোন ব্যক্তির নাম নিয়ে তার বিরুদ্ধে বলি না। কিন্তু এই সমস্যা প্রকট হচ্ছে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি। তারেক মনোয়ার, কাজী ইব্রাহিম, আমীর হামজার মত বক্তারা হয়তো সুস্থ নয়। সময়ভেদে বক্তব্য বদলায়- বেনামাজি তাগুত সরকারকে আল্লাহর পক্ষ হতে উম্মাহর জন্য রহমত ঘোষণা করে। অথচ সালাত না পড়া ব্যক্তি অভিশপ্ত।
কেন তাদের ওয়াজ করার সুযোগ দেন- মিথ্যাচার, জাহেলিয়াত, বিজ্ঞান এর ভুলব্যাখা করে চলছে। বহু বক্তা অশ্লীল বক্তব্য করে অযথা বাংলা ইংরেজি মিশ্রিত শব্দ ব্যবহার করে সময় নষ্ট করে। দাওয়াহ দেওয়া দক্ষতা – মানুষ আপনার চরিত্র, সদাচার, উচ্চারণ, নৈতিকতা, দ্বীনের জন্য ত্যাগ লক্ষ্য করে। এজন্য রসুল (সা:) বহু সাহাবী থাকা স্বত্বেও মুসাইব বিন উমায়রে (রা:) কে মদীনায় দাঈ হিসেবে পাঠান। কারণ তার চরিত্র, চেহারা, বক্তব্য, দ্বীনের জন্য ত্যাগ মানুষকে আকর্ষণ করতো। সাহাবীরা জীর্ণ পোশাক, ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে মানুষের কাছে সর্বস্তরে দ্বীনের দাওয়াহ পৌছিয়েছেন ও সফল হয়েছেন।
আজ দেখুন – দামী পোশাক, মোটা শরীর, বিলাসী জীবন নিয়ে অনেকে বক্তব্য দিচ্ছে নির্দিষ্ট লোকদের নিকট শুধু, কখনও পথশিশু, বস্তিবাসী, গরিব শ্রমজীবীদের কাছে কি আমরা দাওয়াহ পৌছিয়েছি? তাদের জন্য সদকা করেছি, একসাথে বসে তাদের সাথে খাওয়া, তাদের দুঃখ শুনেছি?
অথচ রাসূলের (সা:) বহু সাহাবী ছিল দাস। আবু বকর (রা:) সহ ধনী সাহাবীগণ তাদের মুক্ত করেন – ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়ান। যুগে যুগে তরুন, গরীবগণ সবচেয়ে বেশি ঈমান এনেছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে। সত্যি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চান – তাদের সঠিক দ্বীন জানান – যে ইসলাম দারিদ্র্যতা, দাসত্ব হতে মুক্তি দেয়।
ইসলামে নেই করের জুলুম। রয়েছে যাকাত, উসুর, গনিমতের মত সম্মানজনক রিযিকের অধিকার। ওরা জাগলেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা সহজ হবে- দল, ভোটের জন্য ওদের কাছে অনেকে যায়। ভোট শেষে ওদের খোজ কেউ রাখে না।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গরীব, শ্রমজীবী – আর অধিকাংশ মানুষকে দ্বীন না জানিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা চান!! কতই না অবান্তর।