ওরা আমাদের মানবতা শেখাতে আসে, অথচ বিশ্বের শ্রেষ্ঠমানব (রসুল (সাঃ)) আমাদের আর্দশ। ওরা আজ আমাদের ভালোবাসার সংজ্ঞা শেখায় অথচ ভালোবাসার কিতাব (আল-কুরআন) আমাদের পাঠ্যসূচি। যেখানে রবের ভালোবাসা, দয়া, রহমত, ক্ষমার কত বর্ণনা রয়েছে আর রয়েছে পিতামাতা, স্ত্রী-সন্তান, স্বজন, প্রতিবেশী, নারী, শিশুদের ভালোবাসার শিক্ষা। তাদের রক্ষায় প্রয়োজনে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে শেখায়। আল্লাহ বলেন- “আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা যুদ্ধ করবে না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নরনারী এবং শিশুদের জন্য, যারা বলে, হে আমাদের রব! এ জনপদ- যার অধিবাসী যালিম, তা-থেকে আমাদেরকে বের করুন; আর আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে কাউকে অভিভাবক করুন এবং আপনার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের সহায় করুন। (সুরা নিসা-৭৫)। ওরা আমাদের নারী অধিকার শেখাতে আসে, আলোর পথে হাটার কথা বলে অথচ আমরা সেই জাতি যারা জাহেলিয়াতের অমানিশা ছিন্ন করে হেদায়েতের আলো জ্বালিয়েছিলাম আর নারীদের তার সঠিক সম্মান ফিরিয়ে দিছিলাম। ওরা ওদের তথাকথিত মহান নেতার প্রশংসা প্রচার করে আর তার আদর্শের পথে আহ্বান করে অথচ আমাদের মহান নেতা রসুল (সাঃ) এর প্রশংসা করেছেন স্বয়ং বিশ্বজাহানের রব আল্লাহ আর তার আদর্শকে আকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। তা ছেড়ে কখনও তোমাদের তুচ্ছ নেতার আদর্শকে মেনে নিবো না৷ ওদের বিরোধিতা করলে ওদের রচিত সংবিধানের ধারায় শাস্তির ভয় দেখায়। তোমরা সামান্য ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় মানবরচিত আইনে শাস্তির ভয় দেখাও তাহলে শোন মুমিন সবসময় রবের ছায়াতলে থাকে সে তোমাদের জাহান্নামের ভয়ের কথা স্মরন করিয়ে দেয়। তোমাদের সংবিধান ও সংবিধান রচিয়তা ঘন ঘন বদলায়, বেচে থাকলেও ক্ষমতা হারায়, মরলে পচে যায় আর আমাদের সংবিধান আল-কুরআন এটা সে মহানসত্তার যিনি চিরন্জীব, সর্বশক্তিমান যার ক্ষমতা কখনও হ্রাস পায় না। মাঝে মাঝে ওরা আমাদের সমৃদ্ধির লোভ দেখায়, বড় হাসি পায় তোমরা চাও আমরা সামান্য দুনিয়ার সমৃদ্ধির লোভে দুনিয়া ও জান্নাতের মালিক রবের পথ ভুলে জাহেলিয়াতের পথে চলি। ইনশাআল্লাহ আমাদের রব আমাদের জন্য জান্নাতের সমৃদ্ধি রেখেছেন যা সবার কল্পনার বাহিরে। ওরা বলে ইসলাম হল শান্তি ও ক্ষমার ধর্ম সেপথে চল, আমরা বলি আমরাই করেছিলাম ক্ষমা হিন্দার মতো নারীকে যে হামজার (রাঃ) কলিজা চিবিয়েছিল আর সুমাইয়াকে যারা যৌনাঙ্গে বর্শা নিক্ষেপ করেছিল আবার সে মুসলিমরা কাবায় শাস্তি দিয়েছিল ইবনে খাতালকে যে রসুলকে গালি দিয়েছিল। তোমরা ইসলামের একটা দিক প্রচার করছো আরেকটা দিক গোপন করছো। রসুল (সাঃ) যেমন উমর (রাঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) জন্য হেদায়েতের দোয়া করেছেন, তাদের ঈমান আনায় খুশি হয়েছেন তেমনি খুশি হয়েছেন বদরের বিজয়ে ও আবু জাহেলদের পরাজয় ও মৃত্যুতে৷ ওরা আমাদের আদর্শ, মানবতা, চেতনা, রীতিনীতি শেখাতে চায় অথচ তাদের এসকল রীতিনীতি, আদর্শ সব ইসলামের শত্রুদের হতে নেওয়া। আর আমাদের সবকিছুই একমাত্র রবের হতে প্রেরিত তার নির্ভূল কিতাব ও সে কিতাবের শিক্ষক রসুল (সাঃ) আমাদের আদর্শ। ইসলামের শত্রুদের ও সমালোচকদের সুস্পষ্ট জবাব দিতে শিখুন। আমাদের ইসলামে এমনকিছু নেই বরং ইসলামই আমাদের সম্মানিত রয়েছে। উমর (রাঃ) বলেন-” আমরা তো মর্যাদাহীন ছিলাম আল্লাহ আমাদের সম্মানিত করেছেন ইসলামের মাধ্যমে। সুতরাং আল্লাহ আমাদের যা দ্বারা সম্মানিত করেছেন তা থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোথাও সম্মান খুজলে আল্লাহ আমাদের পুনরায় অপমানিত করবেন।