ঈদ শপিং বিড়ম্বনা

সম্প্রতি ঈদের শপিংকে কেন্দ্র করে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে, বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে। অনেকে এর জন্য নারীদের বেপর্দা হয়ে শপিংয়ে আসাকে দায়ী করেন।

একচোখা দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে সত্যের পক্ষে থাকা প্রয়োজন। পর্দা ফরজ ও অপরিহার্য, তবে যে দেশে কোলের শিশুও ধর্ষণের শিকার হয়, সেখানে কি শুধু পর্দাকেই দায়ী করা হবে?

যে লোকগুলো হাজারো মানুষের সামনে নারীর গায়ে হাত তুলতে পারে, সে গোপনে তার স্ত্রী, বোন কিংবা মায়ের সঙ্গে কেমন আচরণ করে, তা সহজেই ধারণা করা যায়।

এটাকে যদি প্রতিবাদ মনে করেন, তাহলে ভুল করবেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ী কতটা সৎ আর কতটা প্রতারণামূলক আচরণ করে, তা কারও অজানা নয়। অন্তত একজন ব্যবসায়ী আরেকজন ব্যবসায়ীর প্রতারণা সহজেই বুঝতে পারে।

যদি সত্যিই এত সাহসী ও প্রতিবাদী হন, তবে পাশের দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন না কেন?

আপনাদের কারণে ইসলাম ও মুসলিমদের দুর্নাম হচ্ছে। নারীরা শপিং এর ফেতনা হতে দূরে থাকুন, তাগুতী রাষ্ট্রে নিরপত্তা সহজ নয়। আর এসব ব্যবসায়ীদের দোকান বয়কট করুন। এসব কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা পর্যন্ত এসব দোকানে কেউ শপিং করবেন না।

আমরা আমাদের মা-বোনদের দাওয়াত দেব— শরীয়াহ কায়েম হলে ইনশাআল্লাহ একটি উত্তম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *