আমরা কারো সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিই। দামী পোষাক পরিধান করি অথচ আল্লাহর সাক্ষাতের কোন প্রস্তুতি নেই, সালাতে উদাসীন।
সালাতে বান্দা আল্লাহর নিকটবর্তী হয় অথচ অধিকাংশ মানুষই পোষাক পবিত্র না তাই সালাত আদায় করতে পারছে না অজুহাত দেখায়। ভাবুন, দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ও ক্ষমতাশীল ব্যক্তি আপনার সাথে সাক্ষাৎ এর সময় নির্ধারণ করলেন। তিনি আপনার অভাব-অভিযোগ শুনবেন একান্তভাবে, এমনকি সমাধান করবেন। এখন আপনি কি সে ব্যক্তির কাছে পুরাতন ও অপবিত্র পোশাক নিয়ে উপস্থিত হবেন? নাকি পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন? সে সময় স্বীয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ না করলে আপনাকে আপনার পরিবার, আত্মীয়, বস ও পরিচিতরা বোকা বলবে। তিরস্কার করবে আর উক্ত ক্ষমতাসীন ধনী ব্যক্তি আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেন হয়তো জরিমানা করবেন।
এখন আল্লাহ কি সালাতের সময় পূর্বে নির্ধারন করেন নি!? সালাতে আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে নিকটে থাকে। তার মুখে আল্লাহর প্রশংসা বাণী, দোয়া শুনে তাকে ক্ষমা, রহমত, বরকত দান করেন। তারচেয়ে বোকা কে হতে পারে যে সালাতে অবহেলা করে? আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রসুলুল্লাহ’(সাঃ) বলেছেন, তোমরা সুরা ফাতিহা পড়। কোন বান্দা যখন পড়ে আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বলে আর রাহমানির রহীম, তখন আল্লাহ বলে আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করেছে। বান্দা যখন বলে মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে। বান্দা যখন বলে ইয়্যাকানাবুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন। আল্লাহ বলেন, এ হচ্ছে আমার ও বান্দার মাঝের কথা। আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। বান্দা যখন বলে ইহদিনাস সিরাতুল মুস্তাকিম (শেষ পর্যন্ত) আল্লাহ বলেন- এসব হচ্ছে আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। (মুসলিম শরীফ -৭৬৪)।