মুজাহিদ আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিলে ইসলামের শত্রুরা ভয় পায় অথচ মুয়াজ্জিনের আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে ভীতি আসে না। কারণ আযানের অর্থ আমরা সঠিকভাবে বুঝাতে সক্ষম হই নি। জন্মের পর নবজাতকের প্রথম ধ্বনি আল্লাহু আকবর সহ আযান, মৃত্যুর পর সালাতে আল্লাহু আকবর ধ্বনিত হয়, আযানের মধ্যে কালেমা শাহাদাত রয়েছে। আল্লাহু আকবর অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান আর কালেমা দ্বারা একমাত্র ইবাদতের যোগ্য বিধানদাতা আল্লাহ, তার মনোনীত রসুল (সাঃ) কে মেনে চলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া সকল তাগুতসহ, রসুল (সাঃ) ব্যতীত সকলের আর্দশকে অস্বীকার করা হয়। যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাদের উপরও শক্তি রাখেন। আল্লাহর কল্যানের পথে চলার আহ্বান জানানো হত আযান দ্বারা। এমন যুগ ছিল, কাফেররা আযান শুনে বুঝত ওরা মুসলিম জাতি, ওরা ইসলাম ছাড়া কোন দ্বীন (জীবনবিধান) মানে না, কুরআন ছাড়া কোন সংবিধান মানে না, শুধু রসুল (সাঃ) এর আর্দশকে মেনে চলে। তাই যখন ৫ বার আযান ধ্বনিত হতো সকল তাগুত ভয় পেয়ে যেত এবং মুসলিমদের ব্যর্থতায় ইসলামের শত্রুরা যখন ক্ষমতা পেল প্রকাশ্যে আযান নিষিদ্ধ করে দিল। আর বর্তমান যুগে অধিকাংশ মুসলিমই আযান শুনে কিন্তু এর মর্ম বুঝে না। তাই মসজিদে ও ঘরোয়া ইবাদতে বিধানদাতা আল্লাহ, সংবিধান কুরআন, আর্দশ রসুল (সাঃ) হলেও রাষ্ট্রসহ অন্যক্ষেত্রে বিধানদাতা, সংবিধান ও আর্দশ ব্যক্তি পরিবর্তন হয়ে যায়।