জালেমের কাছে আমরা ন্যায়বিচার চাই (তাগুতী আইন ও পরিচালকদের কাছে)। জাহেল ও মুনাফিকদের কাছে অনেকে ফতোয়া জানতে চায়! অথচ অনেকের আকিদা সহিহ নয়, রসুলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাহ মানে না। রসুলুল্লাহ ﷺ -এর সুন্নাহ বাদ দিয়ে যারা গণতন্ত্রের শির্ককে ইসলাম নাম দেয়, সুদের ব্যাংককে ইসলামী নামকরণ করে, ইসলামের অপব্যাখ্যা করে—তাদের নেতৃত্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে! অথচ খেলাফত ও শরীয়াহ রাষ্ট্র আল্লাহ প্রদত্ত দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত, আর গণতন্ত্র নিজেই একটি আলাদা দ্বীন।
প্রেম করার জন্য দ্বীনদার মেয়ে/ছেলে খোঁজে, অথচ প্রকৃত দ্বীনদার মুমিন কখনো বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ায় না। আবার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর বিয়ে করে বিশ্বস্ততার আশা করে—যেন পতিতা/লম্পটের কাছে সততার আশা করা!
সুদের ব্যাংকেও এখন সৎ ও দক্ষ ব্যক্তি খোঁজা হয়, অথচ প্রকৃত মুমিন কখনো সুদের পেশায় জড়াবে না। প্রকৃত দ্বীন ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহর দিকে না ডেকে অনেকে নিজের পছন্দনীয় দল বা নেতার দিকে আহ্বান করে বেশি।
গভীর রাতেও ওয়াজ মাহফিলে কত লোক আসে, অথচ ফজরের সালাতে হয়তো প্রথম কাতারও খালি থাকে! আহ! যত আমলই করুক, সালাত ছেড়ে দিলে মুসলিম থাকে না—জাতি যেন তা মানতে চায় না।
দেশের পতাকা ও দলের পতাকা উড়ানো বীরত্ব ও দেশপ্রেম, অথচ ইসলামের পতাকা উড়ালে উগ্রবাদী ঘোষণা করা হয় পথভ্রষ্ট আলেমদের দ্বারা! আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও দোয়া ছেড়ে পশ্চিমা নীতি ও সমর্থন মেনে তথাকথিত তাওহীদী জনতা ক্ষমতা চায়। অথচ ভুল পথে যত দ্রুতই চলুক না কেন, ধ্বংস ততই নিকটবর্তী হয়। আর সঠিক পথে ধীরে চললেও লক্ষ্যস্থলে ঠিকই পৌঁছানো যায়।
তাই রাসুল (সা.)-এর পথ বাদ দিয়ে অন্য কোনো পথে ইসলাম চাইলে সফলতা নয়, বরং ধ্বংসই আসবে। আর রাসুল (সা.)-এর পথে ধীরে চললেও একদিন ঠিকই রাষ্ট্রে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবে।