পুরো ফেইসবুক জুড়ে প্রায় দেখি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার। আলহামদুলিল্লাহ, হয়তো এটা তার ঈমানের প্রকাশ কিন্তু ইসরায়েলীদের অনেক স্বভাবই আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। ফিলিস্তিনিরা ওদের সাহায্য ও আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা দেখিয়েছিল পরে তারা একে একে জোরজবরদস্তি করে ভূমি দখল করে চলছে, আর আরববিশ্ব নির্বিকার। সবাই তাদের কাপুরুষ বলছে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও সাহায্য করছে না তাই।পুরো বাংলাদেশে অনুরূপ ঘটনা কত ঘটে, কাউকে থাকতে দিলে একসময় সেই পুরো জায়গা দখল করে নেয়, ব্যবসার টাকা দিলে মেরে দেয়, বন্ধুর স্ত্রী নিয়ে পালিয়ে যায়, কাউকে সাহায্যের নামে সুদের বোঝা চাপিয়ে দেয়। আর সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও অনেক কাপুরুষগুলো আরব রাষ্ট্রের মত চুপ থাকে তাদের সম্মান ও বানিজ্যের ক্ষতির ভয়ে। সেই কাপুরুষগুলো দেখবেন তথাকথিত মুসলিম রাষ্ট্রের মত সবার সাথে সুস্পর্ক বজায় রাখার ভান করে, আপনার সাথে আড্ডা, ঘোরাঘুরি, দাওয়াতে আমন্ত্রণে তাদের কোন আপত্তি থাকে না কিন্তু আপনাকে বিপদে ফেলে তারা নিজের তথাকথিত সম্মান, সুবিধার হিসাব নিকাশ করে। অথচ মুমিন শুধু আল্লাহর কাছে মর্যাদা খুজে আর কাপুরুষ কখনও সম্মানিত হতে পারে না। অথচ ইহুদিরা পর্যন্ত একে অপরের বিপদে সাহায্য করে, পরস্পরকে অনেকে সুদ (বর্তমান ইহুদীরা) দেয় না। তাই ইহুদিদের ঘৃণা করা ও আরবদের সমালোচনার পাশাপাশি নিজেদের চরিত্রও সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। আজ যারা নিজের প্রতিবেশী, ভাই, বোনের সম্পদ আত্মসাৎ করেন আবার ফিলিস্তিনী মা-বোনের জন্য মায়াকান্না দেখান না কেন – দুনিয়ায় ও আখেরাতে তা কোন কাজে আসবে না। অনেক বড় বুজুর্গ নামধারী দেখলাম – মেয়ে, বোনকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে চায় না। যতসব অবান্তর কুসংস্কার ও যুক্তি দেখায়। অথচ মহাজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান, ন্যায়বিচারক আল্লাহ তাদের অধিকার দিয়েছেন আর তুচ্ছ মানুষ তার বিরোধীতার সাহস কিভাবে রাখে নাউজুবিল্লাহ। অথচ আল্লাহ বলেন – “তোমরা কি জাহেলিয়াতের বিধান কামনা কর, বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিধান দানে আল্লাহর চেয়ে কে শ্রেষ্ঠতর।” (সুরা, মায়েদাহ)। ইসলাম এসে জাহেলিয়াত দূর করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল আজ তথাকথিত মুসলিমরাই জাহেলিয়াত ছড়াচ্ছে। আজ যারা চোখের সামনে সংঘটিত অন্যায়, ইসলাম নিয়ে কটুক্তি ও সহীহ আলেমদের রক্ষা করতে কোন ভূমিকা না রেখে নিরবতা পালন করে, তাদের আকসা মুক্ত করার স্বপ্ন বিলীসিতা ছাড়া কিছুই নয়।