ওরা আমাদের পরিবর্তন চায়, ওরা চায় আমরা ইসলামকে ছেড়ে জাহিলিয়াতকে আকড়ে ধরি। আমরা যখন গান শুনতাম, প্রচার করতাম ওরা তেমন বাধা দিত না অথচ এখন ইসলামী লেকচার, স্ট্যাটাসে বাধা দেয়!? আমরা যখন নিল্লর্জের মত দাড়ি ফেলে নারীর বেশ ধরতাম তখন তারা আপত্তি করে নি কিন্তু এখন আমাদের দাড়ি রাখা ওদের আপত্তির কারণ অথচ ওরাই বলে আল্লাহ রহমানুর রহীম, রসুল (সাঃ) রহমতের নবী তাহলে আল্লাহর বিধান ও রসুলের (সাঃ) সুন্নাহর মাঝে রহমত ছাড়া অকল্যান থাকতে পারে কি!?ওরা মিথ্যা বলতে আল্লাহ ও তার জাহান্নামকে ভয় করে না, অথচ ওদের সাথে মিথ্যা বললে রাগ করে! ওরা চায় জালেমের নির্যাতনের ভয়ে আমরা সত্য বলা বন্ধ করি, আল্লাহর জমিনে থেকে আল্লাহর সম্মুখে মিথ্যাকে সমর্থন করি। অনেকে আমাদের সালাতের নিয়ম নিয়ে সমালোচনা করে অথচ লাখো কোটি মানুষ জাতীয় সংগীত ও পতাকাকে সম্মানের নামে রাষ্ট্রীয় সালাত (শিরক) পড়ছে তখন তারা নিরব। ওরা চায় দুনিয়ার সমৃদ্ধির জন্য আমরা যেন হারামের সাথে অপোষ করি অথচ দুনিয়ার মালিক মহাপবিত্র। পবিত্র রিযিক ব্যতীত তিনি ইবাদত কবুল করেন না। ওরা বলে তোমরা অসামাজিক হয়ে যাচ্ছ- আমরা বলি তোমরা কোন সমাজ ও সমাজিকতার কথা বলছো? যে সমাজে কোলের শিশুও ধর্ষিত হয়, খুন, সুদ, জেনা, অর্থ লুটপাট চলছে এই সমাজের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্মানের না লজ্জার!? এখন ইসলাম বিরোধী কাজগুলোকে সামাজিকতা ভাবা হচ্ছে। স্বজন/বন্ধুর বোন ও স্ত্রীর সাথে কথা বলা সামাজিকতা না বলা অহংকার। দাওয়াতের নামে বহু তরকারি দিয়ে ভোজনবিলাস করা সামাজিকতা অথচ সমাজের গরীব, মিছকিন, এতিম, টোকাই সামান্য খাবারের জন্য কষ্টরত। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- দুজনের খাবার তিনজনের হতে পারে (বুখারী) আর এখন তিনজনের খাবার একজন খাচ্ছে এটাই সামাজিকতা। ওরা বলে অনেককিছু মানিয়ে চলতে হয়, সবর করতে হয়। আমরা বলি- সবর মানে অটল থাকা, ধৈর্য্য নামক কাপুরুষতা না। যতই বাধা আসুক না দ্বীনের পথে অটল থাকাই সবর, এরজন্য প্রয়োজনে কোমল দাওয়াত, প্রয়োজনে বর্জ্র প্রতিরোধ, প্রতিবাদ সবই করতে হয়। এরপর ওরা আমাদের ভালোবাসার আবেগী তীর ছুড়ে – আমরা তোমাদের ভালোবাসি, তোমাদের কল্যান চাই। আমরা বলি- আমরাও তোমাদের ভালোবাসতে চাই, চাই তোমরা আমাদের জান্নাতের সঙ্গী হও। আর ভালোবাসার স্রষ্টা আল্লাহর চেয়ে কে বেশি ভালোবাসতে পারে? আজ এত রহমত পেয়েও যারা দুনিয়ার লোভে আল্লাহর ভালোবাসার পথ ছেড়ে দেয় তাহলে মনে রাখুন যেকোন মুহূর্তে দুনিয়ার লোভে তোমাদের প্রতি অকৃতজ্ঞ হবে, অসহায় ফেলে চলে যাবে। ওরা বলে তোমরা বিনা কারণে কষ্টের পথ বেছে নিচ্ছো, সফলতা কই? আমরা বলি তোমরা সারাদিন অজস্র কষ্ট সহ্য করো প্রিয় সন্তানের জন্য, সারাদিন ক্লান্ত হয়ে যখন গৃহে ফিরো সকল কষ্ট ভুলে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে নেও, সেকি দুঃখ ভুলানো সুখকর প্রশান্তিময় অনুভূতি যার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করো!? কেউ যদি সেই সন্তানকে তোমাদের হতে দূরে নিয়ে যেতে চায়, তার সাক্ষাৎকে বাধা দেয় তাহলে কাপুরুষতার পথ অনুসরণ করবে না প্রতিরোধ বা প্রতিবাদের চেষ্টা করবে? কেউ চাইলে কি সন্তানের প্রতি ভালোবাসা তোমাদের অন্তর হতে মুছে দিতে পারবে? ঠিক তেমনি মুমিন আল্লাহকে এরচেয়ে বেশি ভালোবাসে, আল্লাহর সাক্ষাতের আশায় কষ্ট সহ্য করে, তার ইবাদতের মাঝে প্রশান্তি পায় আর কেউ যদি আল্লাহ ও আমাদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করতে চায় আমাদের প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ অস্বাভাবিক কেন হবে!? আসলে তোমরা আমাদের যা পরিবর্তন চাও তা হলো ইসলাম আর যা মানিয়ে চলতে বল তা হল জাহেলিয়াত।