অসুস্থ বিধর্মীদের প্রতি মুসলিমের কর্তব্য

সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ)— আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ইয়াহুদী বালক নবী (সাঃ) এর খিদমাত করত। সে একবার অসুস্হ হয়ে পড়লে নবী (সাঃ) তাকে দেখার জন্য আসলেন। তিনি তার মাথার কাছে বসে তাকে বললেনঃ তুমি ইসলাম গ্রহন কর, সে তখন তার পিতার দিকে তাকাল, সে তার কাছেই ছিল, পিতা তাকে বলল, আবুল কাসিম (রসুলের কুনিয়াত) এর কথা মেনে নাও। তখন সে ইসলাম গ্রহণ করল। নবী (সাঃ) সেখান হতে বের হয়ে যাওয়ার সময় ইরশাদ করেনঃ যাবতীয় প্রশংসা সে আল্লাহর, যিনি তাকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দিলেন (বুখারী ১২৭৩)। কোন ব্যক্তি সারাজীবন শিরক করে মুসলিম হওয়ার পর তার সকল গোনাহ ক্ষমা করা হয় আর কোন মুসলিম মহামারীতে মরলেও তার জানাজা পড়ানো হত ও দাফন হত (বুখারী১২৮৪)। আল্লাহ রসুলগণকে পাঠিয়েছেন জাহান্নাম হতে সতর্ক ও জান্নাতের সুসংবাদ দিতে। আজ মানবতার নামে যারা ওদেরকে দাওয়াত না দিয়ে ওরা মরলে ওদের শিরকী নীতিতে পুড়ানোকে ইসলামের উদারতা প্রমাণ করতে চাইছেন তারা সুস্পষ্ট গোমরাহীতে আছেন। যিনি মানবের স্রষ্টা তিনি মানবতা জানেন না তাহলে কি সৃষ্ট সাধারণ মানুষ জানে? সত্যিই যদি ইসলামের উদারতা দেখাতে চান ওদের দাওয়াত দিন। মৃত্যু নির্দিষ্ট তা আসবে তা মহামারী বা অন্যকিছুতে হোক। যদি ওদের কল্যাণ চান দাওয়াত দেন। দুনিয়ার সামান্য আযাব হতে জাহান্নাম অনেক কঠিন। আর এর হতে নিজে বাচুন ও অন্যকে বাচানোর জন্য চেষ্টা করুন। কিন্তু দাওয়াত দিলে আঘাত আসতে পারে, সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে, সে ভয়ে চুপ থাকলেন আর নিজ নিরাপত্তার জন্য ওদের জন্য বন্ধুভাব দেখালেন। তাহলে তারা আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করেনি, কেয়ামতের দিন হিসাব দিতে হবে। আর সকল বিপদ হতে রক্ষা করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *