Rag ডে ফেতনা

ধারণা করা হয় ভিক্টোরিয়ান যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র দুস্হদের জন্য Rag বা পুরানো কাপড় সংগ্রহ করতে শুরু করে। পড়ালেখার পাশাপাশি জনসেবার কাজ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপাক আগ্রহের সৃষ্টি করে। এই কর্মসূচী Raise and Give, Raising and Giving, Raise and Grand (RAG) নামে পরিচালিত হতো। ধীরে ধীরে এই দান কাজ স্নাতক শেষের উৎসবে পরিণত হয়। আফ্রিকায় সর্বপ্রথম ১৯২৫ সালে পিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে Rag ডে পালন শুরু হয়, মানুষের থেকে অর্থ নিয়ে জনকল্যানে ব্যয় হতো। Rag আর Raging এর মধ্যে পার্থক্য ছিল। Raging সিনিয়ার শিক্ষার্থীরা জুনিয়ারদের বা নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের আদব কায়দা শেখানোর উদ্দেশ্যে শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা বিকৃত হয় আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট আকার ধারণ করে ভারত উপমহাদেশে।মুসলিমদের জনসেবার জন্য এরকম নির্দিষ্ট দিনের আয়োজনের প্রয়োজন নেই। ইসলামে বছরে যাকাত দেওয়া, সবসময় দান সদকা করা নিয়ম। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- দুজনের খাদ্য তিনজনের হতে পারে (মুসলিম) তেমনি কারো ৩ টা জামা থাকলে পুরান নয় একটা নতুন জামা দান করা উচিত তার অভাবী প্রতিবেশী ভাইকে। আজ Rag day আর কিছু না বেহায়াপনা দিবস ব্যতীত। যে লোকগুলো শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধার মিথ্যা অভিনয় করত তাদের অনেকে আজ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে নির্লজ্জের মত নিজের চরিত্র সবার সামনে প্রকাশ করছে। যেসব স্হানে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা চলে তা বন্ধ করার চেষ্টা না করলে সে জাতির উপর যেকোন সময় আযাব আসতে পারে। আল্লাহ বলেন- “যারা বিশ্বাসীদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য আছে ইহকাল ও পরকালে মর্মান্তিক শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন তোমরা জান না।” (সুরা নূর-১৯)। এছাড়া রয়েছে ব্যাভিচার বৃদ্ধি পেলে মৃত্যু, হত্যা বেড়ে যাবে। ব্যাভিচারের কারণে আজ আত্মহত্যা, খুন এমনকি পরকীয়ার কারণে নিজের শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। একটা ব্যাপার হল হাজারও মানুষ দেখলাম Rag ডে পালনকে ঘৃণিত প্রচার করেছে কিন্তু তারা আবার টিশার্টে অশ্লীল লেখা সমৃদ্ধ নারীর ছবি দিয়ে গোনাহ ছড়াচ্ছে। চিন্তা করুন প্রকাশ্যে Rag ডে আজও মানুষের কাছে ঘৃণিত অথচ সুদ, গীবত, অপবাদ ব্যাভিচার হতে নিকৃষ্ট। কিন্তু কয়জন প্রকাশ্যে সুদের বিরুদ্ধে বলে, কয়জন গীবত ও অপবাদ না করে দিন কাটায়? সুদের সর্বোচ্চ গোণাহ হল আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আর সর্বনিম্ন হল নিজ মায়ের সাথে জেনা করা। আল্লাহ বলেন- “হে বিশ্বাসীরা, আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদ বাবদ মানুষের কাছে যা তোমাদের পাওনা আছে তা পরিত্যাগ কর যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। আর যদি তা না কর, তবে ধরে নেয়া হবে যে, তোমরা আল্লাহ ও তার রসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছ। যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমাদের জন্য তোমাদের মূলধন রয়েছে। তোমরা সুদ নিয়ে অত্যাচার করো না এবং মূলধন হারিয়ে অত্যাচারিতও হয়ো না।” (সুরা বাকারাহ-২৭৮-২৭৯)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *