মুসলিমের শ্রেণিকরন

Pexels photo 5485597

বর্তমানে মুসলিম দুভাগে বিভক্ত, ১. আল্লাহ যাদের মুসলিম ঘোষনা করেছেন। ২. যারা নিজেদের মুসলিম ভাবে অথচ ইসলামিক জ্ঞান ও আমলে তার ছিটেফোঁটাও নেই। অথচ কুরআন হাদীস, ফিকাহের আলোকে মুসলিমকে কিছুভাগে বিভক্ত করেছে।

১. মুমিন- রসুল, নবী, সিদ্দিক, শহীদ, গাজী সর্বোচ্চ মুমিন।এছাড়া সাধারণত মুমিন বলতে বুঝায় যারা দৃঢ়ভাবে ইসলামের পথে অটল থাকে। যদি কিছু ভুল হয় তওবা ও ইস্তেগফার করে নেয়। শুধু আলেমরাই মুমিন তা নয়। এমনও মুমিন আছে যারা ইসলামের জ্ঞান অর্জন করার সময় পাই নি কিন্তু ইসলামের জন্য জীবন বিলিয়ে দেন। আসহাবে উখদুূদ ও রসুল (সাঃ) এর কিছু সাহাবী এমনই ছিলেন।

২. ফাসেক- যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে, ইবাদতও করে কিন্তু গোনাহও করে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পাপ প্রকাশ না হয় কাউকে ফাসেক ভাবা উচিত না। ইসলামী রাষ্ট্রে ইসলামী আইন অনুযায়ী তার কৃতকর্মের শাস্তি হবে। যেমন- চুরি করলে হাতকাটা, জেনার শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত বা রজম (বিবাহিত হলে) কিন্তু মরলে জানাজা ও দাফন হবে।

৩. মুনাফেক, মুরতাদ- মুসলিম নামধারী ওরা হল মুসলিমদের বড় শত্রু। ওদের চেয়ে বড় ক্ষতি আর কেউ করে নি। এরা মুসলিম ও কাফের দুদলের কাছে প্রিয় হবার অভিনয় করে।ওরা মুসলিমদের সমৃদ্ধিতে কষ্ট পায়, মুসলিমদের ক্ষতি দেখলে খুশি হয়। নিজেদের সুবিধার্থে কুরআন-সুন্নাহর ভুল ব্যাখা করে। ওদের মধ্যে অনেক পথভ্রষ্ট আলেম রয়েছে। এই উম্মতের জন্য পথভ্রষ্ট আলেমরা হবে দাজ্জালের চেয়ে বড় ফেতনা। (মুসনাদে আহমদ ৫/১৪৫, ২১৩৩৪)। যারা প্রকাশ্যে ইসলাম হতে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয়, কুফরের পথ অনুসরণ করে তাদের মুরতাদ বলে। আসলে ওরা মুসলিম, কাফের কারো বন্ধু নয়, ওদের মূল্য লক্ষ্য দুনিয়া অর্জন তাই যে দল বা যাদের পক্ষে গেলে নিজের সুবিধা হবে অর্থাৎ ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কথা বলে। আর কারো হতে সুবিধা না পেলে বা ক্ষমতা দুর্বল হলে দল বদল করে। জানাস্বত্বেও কোন মুনাফেক, মুরতাদের জানাজা পড়া হারাম।

৪. জিন্দিক- যারা নিজেদের মুসলিম দাবি করলেও তারা কুরআন, সুন্নাহর আকীদার মূল বিষয়গুলো অস্বীকার করে ও তাদের আকীদা শিরকযুক্ত। যেমন- কাদেয়ানী, আলাভী, নুসাইরিয়া (শিয়াদের দল)। সকল ফিকাহদের ইজমা ওরা মুসলিম নয়। ওদের ক্ষেত্রে শরীয়তের নিয়ম সবচেয়ে কঠোর। ওদের মসজিদগুলো কখনও মসজিদ হিসেবে বিবেচিত নয়।ওদের ইসলাম জানানো মুস্তাহাব। সুতরাং যেমন জালেম মুশরিক ও সাধারণ মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য আছে একজনের দোষে আরেকজনের শাস্তি দেওয়া অযৌক্তিক। তেমনি কোন মুনাফেক, মুরতাদ, জিন্দিক, ফাসেকের কারণে মুমিনদের ও ইসলামকে দোষারাপ করা বোকামী। প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মের শাস্তি ভোগ করবে। আল্লাহ মহান বিচারক। ফাসেকের ভুলে মুমিনের বুকে গুলি চালানো জাহেলিয়াত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *