কবি যখন আহত হয়

Pexels Photo 6037572 1

প্রাণখুলে কবিতার ঘ্রান নিবে বলে, মাস্ক খুলে কবি গেল পার্কে।

এরপর লাঠি পেটা খেয়ে ফিরল বাড়ি।

পিঠেতে মাখিয়া মলম, কবি ধরিল কলম।

আজ সে বিদ্রোহী, লিখবে জ্বালাময়ী সব প্রতিবাদী কবিতা।

কবি লিখল-

এই আঘাত নয় শুধু কবির দেহে, এই আঘাত লেগেছে সকল কাব্যপ্রেমীদের বুকে।

লক ডাউন ভেঙ্গে প্রয়োজন যাবে সে জেলে, তবু মুক্ত বাতাসে নিবো কবিতার স্বাদ।

ওরে হারামজাদা! লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি কি”! তোদের লাঠিপেটা খাবো বলে।

এরপর কবির দুচোখে কত অশ্রু ঝরল, কবিতায় পাতায় সরকার, প্রশাসন, সমাজ নিয়ে কত হতাশা ও নিন্দা ছড়াল।

হঠাৎ কবির মোবাইলে আসিল মেসেজ, যেন ছোট একটা লিস্ট, আশেপাশে মৃত, অসুস্থ প্রতিবেশী ও স্বজনের।

ভীত হইয়া ঘরের দরজা বাধিল কবি, কবিতার পাতা ছিড়িয়া লিখল নতুন সভ্য কাব্য।

কবি লিখল-

দেখব না আর জগতটাকে, থাকবো আমি বদ্ধ ঘরে, কেমন করে ঘুরে অজ্ঞ মানুষ পার্কে, রাস্তায়।

যখন চারপাশে রয়েছে জীবানু আর বাতাসে লাশের গন্ধ ভেসে আসে।

এরকম প্রতিবাদী কবিতে ভরে গেছে আজ দেশ, মানুষ মরলে, মুসলিম, কুরআনের অবমাননা হলেও তাদের বিবেক জাগে না শুধু নিজের স্বার্থে আঘাত লাগলে হয়ে উঠে জ্বালাময়ী প্রতিবাদী। মন্দির প্রেমে অন্তর জ্বলে, হয়ে উঠে অনলবর্ষী বক্তা আর কুরআন পুড়লে নিরব থাকে। মিথ্যা স্বাধীনতা চেতনা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের নাম নিয়ে তারা শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে। আমাদের চেতনা ইসলামী চেতনা, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ইসলামী সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী। কারো হতে চেতনা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ধার করার প্রয়োজন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *