বায়তুল আকসা, জেরুজালেম, শাম পবিত্র ভূমি মুসলিম উম্মাহর নিকট অতি প্রিয়। এই ভূমি দাউদ (আঃ) দখল করেন সেখান হতে দাউদ (আঃ) ও সোলাইমান (আঃ) শাসনক্ষমতা চালান। ঈসা (আঃ) এই ভূমি হতে সারাবিশ্ব পরিচালনা করবেন। পবিত্রভূমির আর্তনাদ মুসলিমদের অন্তরে হাহাকার সৃষ্টি করছে, সবাই তার মুক্তির প্রার্থনা করছে কিন্তু বাস্তবতা হল এই আমরা কতটা নিজ ভূমি রক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি? হাদীস অনুযায়ী- যখন জেরুজালেমে বসতি হবে, মদীনার পতন হবে তখনই আসবে মহাযুদ্ধ (আবু দাউদ)। রসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন- যখন শামভূমি ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, তখন তোমাদের মধ্যে কোন কল্যান থাকবে না। আর আমার উম্মতের একটি দল সবর্দা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। তাদের যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তারা কেয়ামত পর্যন্ত তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না (তিরমিজি- ২১৯২)। আলেমদের মতে এই বাহিনী শামে থাকবে (সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন)। এইছাড়া মহাযুদ্ধে মুসলিমদের হেডকোয়ার্টার হবে দামস্কাসের আলগুতা শহরে (আবু দাউদ- ৪২৯৮)। এছাড়া এক সময় ইরাক, শাম, ইয়েমেনে মুসলিমদের তিনটি বাহিনী হবে। রসুল (সাঃ) মুসলিমদের শামের বাহিনীকে শ্রেষ্ঠ বলে ওখানে যোগ দিতে বলেন। তিনি বলেন – আল্লাহ সর্বোত্তম বান্দাদের শামে একত্রিত করবেন (আবুদাউদ ২৪৮৩)। শামে যখন যুদ্ধকলহ চলবে তখন মুসলিম ভূখন্ডগুলোতে শান্তি থাকবে না, সর্বত্রই গৃহযুদ্ধ সহ কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চলবে। হাদীস অনুযায়ী- খোরাসান ভূমি হতে (ইরান, আফগান, উজবেকিস্থান, কাজাকিস্হান, তাজাকিস্হান, তুর্কমেনিস্তান) হতে কালো পতাকাবাহী দল বের হবে। তাদের কোনকিছুই রুখতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সে পতাকা জেরুজালেমে স্হাপন করে। (তিরমিজি ২২৬৯) এবং জেরুজালেম বিজয়ের পর একটা বাহিনী হিন্দ (ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ভুটান, শ্রীলংকা) ও সিন্ধে (পাক, চীন) পাঠাবে তারা এসব ভূখন্ডের মুশরিক রাজাদের শিকলে বেধে জেরুজালেম নিয়ে আসবে এবং তাদের জীবিতরা ঈসা (আঃ) এর নেতৃত্বে দাজ্জালের বিপক্ষে যুদ্ধ করবে (আল ফিতান, মুসনাদে আহমদ)। তাই জেরুজালেম বায়তুল আকসা নিয়ে দুঃখ করার পাশাপাশি সতর্ক হওয়া উচিত। আমাদের ভূখণ্ডে অনুরূপ বা আরও ভয়াবহ যুদ্ধ আসছে।
জাজাকাল্লাহ খাইরান। অনেক তথ্য জানতে পারলাম।আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।