কুরআন শুধু গ্রন্থে সীমাবদ্ধ থাকতে আসেনি রাষ্ট্রীয় সংবিধান হতে দেওয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত কুরআন রাষ্ট্রীয় সংবিধান হবে না, জালেম ও ইসলামের শত্রুরা এটাকে অবমাননা করবেই। আমরা হয়তো কয়েকটা মিছিল, মানববন্ধন করবো এরপর ভুলে যাবো কিন্তু আরশের অধিপতি ভুলবে না, না ভুলবে তাকে যারা ভালোবাসে। আল্লাহ বলেন- “হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম হতে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারা তাকে ভালোবাসবে। তারা মুসলিমদের প্রতি বিনয়- নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা, আল্লাহর পথে জেহাদ করবে, কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।” (সুরা মায়েদা-৫৪)।যেখানে কুরআনে আল্লাহ বলেন- “আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না, হয়তো তারা অজ্ঞতাবশত সীমালঙ্ঘন করে আল্লাহকে গালমন্দ করবে।” (সুরা আল আনআম)। ওদের মাটির তৈরী মিথ্যা মাবুদকে গালি দিতে মানা করেছে এজন্য যে ওদের কোন সম্মানই নেই কিন্তু তার জন্য সর্বাধিক সুমহান মর্যাদার অধিকারী আল্লাহকে গালি দেওয়া যেন না হয়। আর আজ সেখানে আল্লাহর কিতাব অবমাননার সুযোগ কিভাবে পায়? কুরআন বলে – মুশরিকরা ভীতু কিন্তু ওদের এই সাহসের কারণ আমাদের ভীরুতা ও প্রশাসনের আশ্রয়। আমরা যতবারই ওদের কাছে বিচার চাইবো ওরা নির্বিচারে গুলি করবে। আমাদের করের টাকায় পূজা হবে আবার আমাদের টাকা কেনা বুলেট আমাদের উপর ছুড়বে আবার প্রতিবাদ করলে বলবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা। সুস্পষ্টভাবে বলি আমরা ইসলাম ছাড়া কোনকিছু মানি না, মুসলিম ছাড়া কারো সাথে আমাদের সম্প্রীতি নেই, যারা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে না এমন মুশরিকদের ভালো ব্যবহারের সহিত দাওয়াত দিবো। আল্লাহ বলেন- “তোমাদের জন্য ইব্রাহিম ও তার সঙ্গীগণের মধ্যে চমৎকার আর্দশ রয়েছে।তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের মানি না। তোমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্হাপন না করলে তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে চিরশত্রুতা থাকবে।” (সুরা মুমতাহিনা-৪)। অপনারা শুধু অপরাধীর বিরোধিতা করবেন আর তাদের আশ্রয়দাতার সাথে সুসম্পর্ক রাখবেন এটা কেমন ইসলাম? আল্লাহ ফেরাউন, নমরুদ, আদ, সামূদ জাতির সর্দারদের শুধু ধ্বংস করেন নি তাদের সেনাবাহিনী, সাহায্যকারী সকলকে আযাব দেন, তারা কেউ মূর্তি বানাতো, কেউ পাহারা দিত, কেউ পূজাকরত, কেউ পূজারীদের আশ্রয় দিত, কেউ রাষ্ট্রে শিরকী আইন পরিচালনা করত। আর এর বিরোধিতা করায় রসুল ও তাদের সঙ্গীদের হামলা, মামলা, নির্যাতন ও হত্যা করত, তাদের স্হান হবে জাহান্নামে। সুতরাং আজকের মূর্তি ও শিরকের পাহারাদার, পরিচালকদের শাস্তি ভিন্ন কেন হবে?