অনেক মুসলিম ও হিন্দুরা পোস্ট শেয়ার করছে যে কোন হিন্দু কুরআনকে অসস্মান করতে পারে না, তারা আযান শুনলে গান বন্ধ করে দেয়। এটা গুজব বা ধর্মীয় সংহিসতা ছড়ানোর চেষ্টা। আমি বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে চিনি যারা কুরআন অবমাননার কল্পনাও করবে না। আর বিনা কারণে ধর্মীয় সহিংসতা ছড়াতে ইসলাম শিখায় না। কিন্তু প্রশ্ন হল- মন্দিরে যখন কুরআন অবমাননা করেছে, কয়জন হিন্দু প্রতিবাদ জানাইছে? ভারতে যেসব মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে ও কুরআন অবমাননা করেছে ওরা কারা, বাংলাদেশের কয়জন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে? যারা ইসলামের সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয় নি তাদের আগে ভদ্রতার সহিত দাওয়াত দিবো ইসলামের পথে। আর আযান দিলে গান বন্ধ করে দেওয়া আপনাদের মহানুভবতা নয় বরং আমাদের কাপুরুষতা, ব্যর্থতা আর ক্ষমতাসীনদের চাটুকারিতার প্রমাণ। এদেশে প্রকাশ্যে অশ্লীল গান বাজনা চলে, গান হলো সংস্কৃতি। এসব হিন্দি, বাংলা গানের সাথে হিন্দুধর্মের পূজার কোন সম্পর্ক নেই। ওদের জন্য বৈধ কীর্তন, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, তারা তা করুক। গীতা, বেদ, উপনিষদ, মহাভারত, রামায়ান, বিষ্ণু পুরানসহ সকল পুরান, মনুসংহিতায় কোথায় এসব নাচ গানের বৈধতা দেওয়া আছে? বরং মনুসংহিতায় অশ্লীল নাচ গান নিষেধ করা হয়েছে। সনাতন ধর্ম যদি অনেক পুরাতনই হয় তখন কি তথাকথিত হিন্দীভাষা বা গান ছিলো!! আজও গীতা, বেদ, মহাভারত সংস্কৃত হতে বাংলা হচ্ছে।