পাগল ও ক্ষুধার্তের জন্য ইসলামের বিধান

এমনও যুগ ছিল মুসলিমরা প্রতিটা ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা বিচার চাইতো। আজ ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে শান্তি বিনষ্ট হবে, উগ্রবাদ ছড়াবে বলা লোকগুলো নিজেরাই বিচারক হয়ে গেছে! যে যার আইন কার্যকর করছে। সামান্য ভাতের জন্য ক্ষুধার্ত, অসুস্থকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে আর তারাই ইসলামকে উগ্রবাদ প্রচার করে, আসলে ওরাই প্রকৃত উগ্রবাদী। নিজেরা বড় পাপ করে তওবা […]

মুমিন কেন শির্ক হেফাজত করবে?

মুমিনের বৈশিষ্ট্য ঈমান ও ইসলামের হেফাজত করবে।কুফর, শির্ক/মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে দাওয়াহ দিবে। আজ তারা শির্ক হেফাজতের দাওয়াহ দেয় অথচ কাফের, মুশরিকরা তাদের মন্দির পাহারাকে ওদের জন্য অপমানজনক মনে করে!? কাফের, মুশরিকরা এখন কুফর, শির্কে অটল থাকায় যতটা কঠোর ততটা কঠোরতা আপনারা ইসলাম পালনে দেখাতে পারেন নি। কিন্তু সামান্য মাসয়ালাগত দ্বন্দ্বে মুসলিমদের ইহুদিদের দালাল, মুনাফেক ঘোষণা করতে […]

মূর্তির ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পর্ব-২ (ধর্ম ও সংস্কৃতি)

মুসলিমরা হলো শ্রেষ্ঠ জাতি যাদের মানবজাতির কল্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন- আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে, ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম। (আলে ইমরান ১০৪) তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের আবির্ভুত করা হয়েছে। তোমরা ভাল […]

ইসলাম কি বর্তমান নীতিতে প্রতিষ্ঠা পাবে?

মাননীয় ফেরাউন, মাননীয় আবু জাহেল, মাননীয় হেরাক্লিয়াস আপনারা ইসলামী আইন চালু করুন! আপনাদের হাতে খেলাফাহর বায়াত নিচ্ছি। নবী, সাহাবীরা কি এভাবে বলেছেন নাকি আগে ফেরাউন, নমরুদদের ইসলাম গ্রহণ করার আহ্বান দিয়েছেন? ওরা যদি ইসলাম গ্রহণ করতো রসুলদের নেতৃত্ব মেনে চলতো। নবী, রসুল ও সাহাবীরা নেতৃত্ব দিত বা খলিফা হতো। কারণ ইলম ও আখলাক দিয়ে সর্বোত্তম […]

আযাবের পূর্বে দ্বীনের পথে আসুন-

সালাত হলো মুমিন ও কাফেরের পার্থক্য। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হল সালাত ত্যাগ করা। – জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৬১৮ আমরা মসজিদের ঈমামের ক্ষেত্রে কত গুনাবলি খুঁজি (দাঁড়ি, সুন্নাহ) অথচ রাষ্ট্রীয় ঈমাম (নেতা, কতৃত্বশীল) এমন ব্যক্তিরা রয়েছে যারা জানে না শেষ কবে সালাত পড়েছে। […]

ত্রানের তীব্র সংকট অথচ দ্বীনের ক্ষেত্রে আজও উদাসীন

জন্মের পর হতে এমন দৃশ্য এদেশে দেখা হয়নি। চারপাশে অথৈ পানি। পানিতে ভেসে গেছে- মানুষ, ঘরবাড়ি, স্বপ্ন। দুচোখে ক্ষনে ক্ষনে প্রিয়হারা অশ্রুধারা তবু হাহাকার পানির (বিশুদ্ধ) ও খাদ্যের। ক্ষুধার্ত অসহায় শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধার কষ্ট ও আর্তনাদে আমাদেরও চোখে জল ঝরছে। দান/ত্রান সাহায্য দিয়ে ভাইয়েরা ছুটছে সবদিকে, আহ কত অসহায় মানুষ। অনেকে ত্রান লুটে নিচ্ছে কাল বা […]

বন্যা, বিপদ হোক দ্বীনের পথে ফিরে আসার কারন

আমর নাকিদ (রহঃ) … যায়নাব বিনত জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন। এ সময়ে তিনি বললেনঃ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ নিকট ভবিষ্যতে সংঘটিত দুর্যোগে আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ ইয়াজুজ-মাজুজের প্রাচীর এতটুকু পরিমাণ খুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় সুফিয়ান (রহঃ) এর হাত দ্বারা দশের চক্র বানালেন। […]

বিপদে মুমিনের পরিচয় স্পষ্ট হয়

শামবাসী দীর্ঘদিন প্রিয় শিশু, স্বজনের লাশ দেখছে। দিনের পর দিন ক্ষুধার্ত পার করছে। অথচ সামান্য খাদ্য ফেলে ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। আহ কত সুন্দর কৃতজ্ঞতা জানায়, অশ্রুসিক্ত সিজদাহ দিচ্ছে। হারানো সন্তান যেন শাহাদাতের মর্যাদা পায় ও জান্নাত পাওয়ার উসিলা হয় সেই দোয়া করছে। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন […]

এই স্বাধীনতার শেষ কোথায় – ইসলাম (ন্যায়বিচার) নাকি জুলুম!

ইংরেজদের জুলুম, নির্যাতনে ভারত উপমহাদেশে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের থাবা শেষে ইংরেজরা বিদায় নিল। স্বাধীন ভারত রাষ্ট্র তৈরী হলো। এরপর পাক-ভারত বিভক্তি উভয়ই এটাকে স্বাধীনতার নাম দিলো। এরপর আবার পাকিস্তানের জুলুম, নির্যাতনে যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশ হলো। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সবাই স্বাধীনতার চেতনায়- আলাদা আলাদা জাতীয় সংগীত, পতাকা, জাতীয় সংবিধান গড়লো। যদিও উদ্দেশ্য, আদর্শ, […]

সমাজব্যবস্থা যেখানে জালেম তৈরি করে!

অনেক আন্দোলনের যৌক্তিক দিক থাকে, সাময়িক সফলতা আসে, যাকে আমরা বিজয় বা স্বাধীনতা ঘোষণা করি। কিন্তু জালেম পতন হলেও আমরা যে শান্তির স্বপ্ন দেখি তা কি ফিরে আসে!? কারন রাষ্ট্রনীতি জুলুমে ভরপুর, নেতা বদলালেও নীতি প্রায় একই থাকে। জুলুমের প্রকৃত অর্থ আমরা বুঝিনি। আমাদের কাছে জুলুম হলো শুধু হত্যা, দুর্নীতি। অথচ মহাবিশ্বের বড় জুলুম শির্ক […]

গনতন্ত্রবাদীদের ধোকা পর্ব-৪ (পুঁজিবাদ ও নির্বাচন)

বিশ্বের বহুদেশে একসময় রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র চালু ছিল। রাজ পরিবার বিলাসী জীবনযাপন করলেও সাধারণ মানুষ ছিল অবহেলিত। অধিকাংশ সম্পদের মালিক ছিল রাজপরিবার, তাদের পৃষ্ঠপোষক ব্যবসায়ী, আমলারা, আত্মীয়রা। তাদের জুলুম,নির্যাতন ও অভাব অনটন হতে মুক্তির জন্য মানুষ বিভিন্ন উপায়ের সন্ধান করে – একটা সময় মানবতার মুক্তির পথ ভেবে অনেক দেশ গনতন্ত্রকে বেছে নেয়। এভাবে হয়তো একনায়কতন্ত্র, পুজিবাদ, […]

গনতন্ত্রবাদীর ধোকা পর্ব-৩ (গনতন্ত্র ইসলামের সাথে কেন সাংর্ঘষিক?)

কথায় কথায় খারেজী বলা লোকগুলোর মাঝে আজ খারে-জীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। খা-রেজীর একটা বৈশিষ্ট্য মুশরিকদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকবে অথচ মুমিনদের ব্যাপারে কঠোর। প্রকৃত খেলাফাহর শাসনের বিরোধিতা করবে আর নিজেদের মনমতো শাসনকে কুরআনের ব্যাখা দিয়ে ইসলামী শাসন দাবি করবে। আলী (রা:), হাসান (রা:) এর প্রকৃত খেলাফাহর শাসনব্যবস্থার শত্রুতায় লিপ্ত ছিল খারে-জীরা। আর তারা কুরআনের আয়াতকে ভুল […]