নতুন পোশাক পরে, ভরা পেটে, জাতীয়তাবাদের কুফরী পতাকাতলে তাগুতী প্রশাসনের নিরাপত্তায় তারা ফিলিস্তিন রক্ষার সম্মেলন করে। জাতীয়তাবাদের কুফর ছড়ালো, শেষপর্যন্ত তাগুতের কাছে বিচার চাইলো।
জনপ্রিয়তা ও অর্থের লোভ তাদের কতটা নিচে নামিয়ে দিয়েছে যে দ্বীনের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চিন্তা করে। তারা এমন একটা বার্তা দিচ্ছে যেন এইদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। দেশীয় তাগুতের ছত্রছায়ায় তারা বড় বড় বিজয় করবে। আর বিদেশী তাগুতের (জাতীয়সংঘের) কাছে তারা বিচার চায়!
আপনি তাদের দেখেননি তারা ধারনা (ও দাবি) করে যে, আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হ’য়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে তারা বিশ্বাস করে, অথচ তারা তাগুতের নিকট বিচার চায়, যদিও তা প্রত্যাখান করার জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শয়তান তাদের পথভ্রষ্ট করেছে। (সুরা নিসা- ৬০)
যদি সবাই কালেমার পতাকার নিচে প্রতিবাদ করতো, তবে একই প্রশাসন তাদের ওপর কঠোর আচরণ করত, বন্দি করত, লাঠিচার্জ করত। অথচ যারা ক্ষুধার্ত পেটে, চারপাশে লাশ দেখতে দেখতে, পুরনো পোশাকে কালেমার পতাকাতলে আকসাসহ মুসলিমদের বিজয়ের জন্য বছরের পর বছর লড়াই করছে, তাদেরকেই আজ ‘খারেজী’ বলে অভিহিত করা হয়।
আফগান-রাশিয়া যুদ্ধ কিংবা শাম ও বাশারের বিরুদ্ধে মুসলিমদের জেহাদের সময়ও পশ্চিমাদের প্রচারণায় অনেকে জেহাদের পক্ষে ভাষণ দেন। কিন্তু যখন মুজাহিদদের বিজয় হয় এবং তারা পশ্চিমাদের বিরোধিতা শুরু করলো তখনই একসময়ের মুজাহিদদের আপনারা জঙ্গি ঘোষণা করেন। আবার পশ্চিমা সমর্থন বা কঠোরতা উঠে গেলে তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতা পেয়েছে বিভিন্ন চুক্তি করে তাদের বীর মুজাহিদ দাবি করেন।
দ্বৈত নীতি বাদ দিন। যদি কিছু করতে না পারেন, অন্তত সবাই মিলে নফল সালাত পড়ে দোয়া করুন। আর যাদের প্রকৃত জেহাদের ইচ্ছে আছে তারা কখনও সবার সম্মুখে ঘোষণা দিবে না, বর্ডার খোলার অপেক্ষায় থাকবে না বরং গোপনে প্রস্তুতি নিবে।
কোন তাগুত দেশ তাদের বর্ডার খুলে দিবে!?
বরং খোরসান, ইরান, শামে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে বর্ডার ভেঙ্গে মুসলিমরা জেরুজালেম বিজয় করবে। এরপর জেরুজালেম থেকে কালেমার পতাকাতলে একের পর এক ভূমি বিজয় করে তারপর তারা হিন্দুস্তান বিজয় করবে। তাই যদি ইসলাম ও মুসলিমদের বিজয়ে ইচ্ছে থাকে, আগে নিজ ভূখন্ডে ইসলাম কায়েম করে পরবর্তী মুসলিমদের রক্ষা করতে হবে। নতুবা এমন ভূমিতে হিজরত করতে হবে যেখানে প্রকৃত মুজাহিদরা রয়েছে। আর এসব সম্ভব নাহলে জালেম শাসক, কুফর, শির্কের বিরোধিতা করে উত্তম শহীদ হওয়াই শ্রেয়।
একটু তাকিয়ে দেখুন—আমরা যদি সত্যিই প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করতে চাই, গাজার শিশুদের দিকে তাকিয়ে যেমন মায়া আসে, তেমনি এদেশের ফুটপাতের শিশুদের প্রতি একই মায়া এনে তাদের সাহায্য করি।
বিশ্ব জালেমদের বিরোধিতা যেভাবে করি- এভাবে দেশের অন্যায়ের বিরোধিতা করি ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশেও ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে।
যত অর্থ এসব সম্মোলনে ব্যয় হয়েছে সেই অর্থে নিজেদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল অথবা সেই অর্থ গাজা, রোহিঙ্গা কিংবা ফুটপাতের শিশুদের খাদ্য সহায়তায় ব্যবহার করা যেত।