শরীয়া হলো আদল ও ইনসাফের ভারসাম্য (ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা সম্ভব কি)?

যা প্রতিষ্ঠা হলে সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ন্যায়বিচার বিদ্যমান থাকে। কিন্তু শতভাগ শরীয়া প্রতিষ্ঠা না হলে আদল ও ইনসাফ থাকবে না।

ধরুন- কোন রাষ্ট্রে মুমিনদের জন্য যাকাত, উসুর ফরজ করা হয়েছে, অথচ কাফেরদের জন্য জিজিয়ামুক্ত করা হলো। তখন কাফের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মুমিনের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আবার কোথাও চুরির শাস্তি দিলেও যাকাত ফরজ না করলে ক্ষুধা, অভাবের তাড়নায় চুরি বাড়বে।

জেনা করলে শাস্তি থাকলেও নারীদের অবাধ চলাফেরা, পর্দা প্রথা ইচ্ছেধীন করলে ফাসেক পুরুষ, নারী জেনায় জড়িয়ে যাবে। আবার একদিকে পতিতালয় চালু থাকবে, অপরদিকে নারী-পুরুষকে জেনার সাজা দিবে, হালাল বিবাহ কঠিন ও ব্যয়বহুল করবে। তাহলে ধনীরা পতিতালয়ে ঠিকই যাবে কিন্তু গরীব হালাল বিবাহ করে নিজের চরিত্র পাপমুক্ত রাখাটা কষ্টকর হবে। তবে সর্বোত্তম মুমিন প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেকে পাপমুক্ত রাাখার চেষ্টা করবে।

ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবনবিধান যা আদল (ভারসাম্য) ও ইনসাফ (ন্যায়বিচার) প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমান হাস্যকর নীতি দেখুন- একদিকে পতিতালয়, মদ, সিগারেটের লাইসেন্স মিলে অন্যদিকে ভেজাল অভিযান, দ্রব্যমূল্য তদারকির নামে অনেক ছোট ছোট ব্যবসায়ীর উপর কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বহু অভিজাত হোটেল আছে – যেখানে অবৈধ আয়ের লোকগুলো লাখ লাখ টাকা খরচ করে মদ, প্রেমিকাকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করে অথচ যাকাত ও আয় কর দেয় না। এসব হোটেলে হালাল পানীয়, খাবারের দামও চরম মূল্যের। এসব স্থানে কি অভিযান চলে বা কারা এত অর্থ ব্যয় করে কতটা হিসাব নেওয়া হয়?

যে কোন ব্যক্তি, আলেম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায় আমাদের উচিত তাদের সাহায্য, সমর্থন করা। কিন্তু যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে কুফর, শির্ক পদ্ধতি বর্জন করে না- তারা নিজে মুসলিম না হয়ে কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে? বরং দেখা যায় ক্ষমতার জন্য তারা আরেক দল মুসলিম পরিচয় দানকারীর বিরোধিতায় কঠোর অথচ জালেম ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে নীরব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *