আমরা আজও আমাদের মুসলিম বীরদের চিনি না। মাদার তেরেসার নাম সবাই জানলেও এদেশে আবদুল সাত্তার ইধির নাম প্রায় অজানা। ১৯২৮ সালে ইধির জন্ম গুজরাটে। ৮ বছর বয়সে মাকে হারান। দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন।
মা ছিল তার জীবনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। ইধি যখন স্কুলে যেতেন তার মা তাকে ২ পয়সা দিত, ১ পয়সা তার জন্য আরেক পয়সা গরিবকে দেওয়ার জন্য। মানবতার এই শিক্ষা তিনি অজীবন লালন করেন। তার গড়া নার্সিং হোম, ইধি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুধু পাকিস্তান নয় বহুদেশে ছড়িয়ে পড়ে। হাজারো নয় লাখো মানুষ তার নিবেদিত সেবায় চিকিৎসা পায়, সুস্হতা পায়।
তিনি নিজে অ্যাম্বলুন্স চালিয়ে অসুস্থ মানুষের সেবা করতেন। জরাজীর্ণ একটি ভবনে তিনি অজীবন বসবাস করেন, তার ছিল শুধু একটি জামা। ২০১৮ সালে সংগ্রামী এই বীর মারা যান। তিনি ছিলেন সবসময় তথাকথিত যুদ্ধ বিরোধী। বহু অসহায় হিন্দু ও বিধর্মীদের তিনি সাহায্য করতেন। একদিন একজন প্রশ্ন করেছিল কেন বিধর্মীদের সেবার জন্য তিনি আ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ছুটে যান। তিনি উত্তরে বলেছিলেন – কারণ আমার অ্যাম্বুলেন্সটা তোমার চেয়েও বেশি মুসলিম।
নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসার নাম মিডিয়ার কারণে মুসলিমদের কাছে বহু পরিচিত অথচ মুসলিম দানশীলদের নাম আজও অজানা।