রাজনীতি যখন জালেম তৈরি করে!

একসময় সাবেক ক্ষমতাসীনদের কেউ মরলে মানুষ আলহামদুলিল্লাহ্‌ পড়ত। এখন বিভিন্ন দলের জালেম, চাদাবাজ মরলে পড়ে। অপরাজনীতি জালেম তৈরির কারখানা।

ক্ষমতার বদলে নতুন কেউ জালেমের ভূমিকা পালন করে। নিজ দেশের মানুষকে দলে দলে বিভক্ত করে, শত্রুতে পরিণত করে। শুধু বিরোধী দলের সঙ্গে নয়, নিজ দলের লোকদের সাথেও সংঘর্ষ, বিদ্বেষ চলে পদ ও ক্ষমতার জন্য।

এমপির লক্ষ্য থাকে মন্ত্রীর আসনে বসার, মেয়রের স্বপ্ন থাকে এমপির আসনে বসার। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় এমপি গ্রুপ, মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষ চলে। এছাড়া চাদার ভাগাভাগি, জমি দখল নিয়ে মারামারি চলে।

ইসলামে কখনও এধরনের ক্ষমতা, মনোনয়ন প্রার্থী অপরাজনীতি ছিল না। মজলিসে শুরা খলিফা নির্বাচিত করতো। কেউ খলিফা হওয়ার জন্য জনগণের নিকট নিজের প্রশংসা ও অন্য খলিফা প্রার্থীর নামে নিন্দা, সমালোচনা করতো না।

খেলাফায়ে রাশেদিনের ইসলামী রাষ্ট্রে বিরোধী দল বলে কিছু ছিল না। প্রতিটি ব্যক্তি খলিফা, গভর্নরদের ভুল সংশোধন করিয়ে দেওয়ার অধিকার রাখতো। তারা ভুল ধরিয়ে দিতেন তাতে খলিফা, গভর্নর খুশি হতো কারণ ভুল সংশোধনের মাধ্যমে খলিফা/জনগণ ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষতি হতে রক্ষা পেত। শাসকের তোষামোদী করাকে অপছন্দনীয় ভাবা হতো। আর এখন শাসক, নেতার তোষামোদী করলে পদ, অর্থ, মর্যাদা মিলে।

সকল দলের বড় নেতারা নিজ দলের ছোট নেতাদের সত্য সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। তার উপর সন্তুষ্ট না হয়ে পদচ্যূত করে। যারা নিজেদের সংশোধন করতে চায় না তারা দেশ ও জাতির সংশোধন করবে আশা করা বোকামি।

ইসলামী রাষ্ট্রে ইসলামের গন্ডির ভেতর মত প্রকাশের অধিকার ছিল। বর্তমান মত প্রকাশের অধিকারের নামে ইসলামের নিয়মনীতি নিয়ে সমালোচনার অধিকার ছিল না। তাই গণতন্ত্রের সাথে ইসলামী মতপ্রকাশের অধিকার তুলনা করা অযৌক্তিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *