শেষ জমানাই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু হবে মুনাফিক শাসকবৃন্দ, এছাড়া কাফেররা তো সর্বযুগে শত্রুতাশ লিপ্ত থাকেই।
১. সুফিয়ানী– সুফিয়ানী সে শাম (সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন) ও ইরাক (বাগদাদ, মসুল) ও মদীনায় ব্যাপাক হত্যাযজ্ঞ চালাবে, বনু হাশেমদের হত্যা করবে। সে শাম, মিশর দখল করবে। সে আবু সুফিয়ানের বংশধর হবে। সে বর্তমান ইসরায়েলের ইন্দর হতে হঠাৎ আর্বিভাব করবে। তার সৈন্যদের অধিকাংশ হবে বনু কাল্ববের লোক (বর্তমান বাশার ও তার সেনারা বনু কাল্ববের)। খলিফা মাহাদী প্রকাশ পেলে সুফিয়ানী ১ম সেনা পাঠাবেন যা মদীনার বায়দা নামক মাঠে ধসে যাবে, মাহাদী এসে তাকে পরাজিত করবেন।
২. আবকা– আবকাদের ফেতনা প্রকাশ পাবে মাগরিব হতে (নাইজার, মালি, তিউসেনিয়া, আলজেরিয়ার, লিবিয়া ইথিপিয়া)। তারা মাগরিবসহ মিশর দখল করে সিরিয়া প্রবেশ করবে। সেখানে হিমসে মুজাহিদদের অবরুদ্ধ করে রাখবে ও মুসলিমদের ব্যাপাক হত্যা নিধন করবে। ওরাও মুসলিম নামধারী থাকবে। আল ফিতানের বর্ণনা অনুযায়ী- তারা হলুদপতাকাবাহী হবে, তাদের নেতার নাম হবে আবদুল্লাহ, পরবর্তীতে তারা সুফিয়ানীর কাছে পরাজিত হয়ে দূর্বল হয়ে যাবে। বাকীরা সুফিয়ানীর সাথে যোগ দিবে। অনেক আলেমদের ধারনা বর্তমান তাওরেগ (নাইজার, মালি, লিবিয়া) বিদ্রোহীরাই সে জাতি হবে।
৩. বনু আসফার বা রুম জাতি– অনেকে বলেন রুম মানে খ্রিস্টান। এটা ভুল। রসুলের এক সাহাবীর নাম ছিল সুহাইব আর রুমী (রাঃ)। সাহাবীরা তাকে এই নামে ডাকত। তাহলে কিভাবে একজন মুসলিমকে খ্রিস্টান বলে ডাকতে পারে। এছাড়া জালালুদ্দিন রুমী নামে একজন সুফীবাদী আলেম ছিলেন যার জন্ম তুরস্কের রুম শহরে। আসফার মূলত হলুদ বা লাল বর্ণের। বনু আসফার বা রুম বলতে বুঝনো হয়েছে যারা বংশগত দিক দিয়ে ইসহাক (আঃ) এর ছেলে ঈসীর বংশধর ও রুমের বাসিন্দা। রসুলের যুগে রাশিয়া, সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, গ্রীস পর্যন্ত রুমের সামাজ্য ছিল। মূল রুম হল (তুরস্ক, গ্রীস, ইতালি—)। ওদের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে যা হবে সুফিয়ানীর পতনের পর তাই তা খলিফা মাহাদীর নেতৃত্বে হবে। এরপর উভয়ই পশ্চাৎদিকের শত্রুদের পরাজিত করবে। তারপর রুমদের একজন ক্রুসের জয় বলে ক্রুস উত্তোলন করবে, তাই একজন মুসলিম বিজয় আল্লাহর বলে ক্রুস ভেঙ্গে ফেলবে ও তাকে হত্যা করবে। ফলে রুমজাতি ৮০ পতাকাতলে ১২ হাজার করে মোট ৯ লাখ ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে সিরিয়ায় আমাক ও দাবিকে যুদ্ধ করবে এবং এই যুদ্ধে মুসলিমরা বিজয়ী হবে।
৪. পশ্চাৎদিকের শত্র– মুসলিম আর রুমরা তৃতীয় একদল শত্রু যাদের পরাজিত করবে। কোন কোন আলেমদের মতে তা হল (রাশিয়া, চীন), কেউ কেউ তুরস্ক, কারামান (ইরানের এলাকা) বলেছেন। তবে বিজয় হবে লেবানেনের নিকট।
৫. ইস্তাম্বুল ও দাজ্জাল– মালহামার পর মুসলিমরা (বনু ইসহাক) বিনা অস্ত্রে জয়লাভ করবে। এরপর দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে (মুসলিম কেয়ামতের ফেতনা অধ্যায়, আবু দাউদ, আলফিতান)।