মুসলিমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত হলে আলেম, বিচক্ষনদের কর্তব্য হলো উভয়ের মাঝে শান্তি স্থাপন করা। অথচ বিভাগ নিয়ে যখন জাহেলী গোত্রবাদের মতো মানুষগুলো দ্বন্দ্ব, সংঘাতে বিভক্ত তখন পরিচিত কিছু আলেম তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। তারা আবার নির্বাচনে এমপি, কমিশনার, মেয়র প্রার্থী ছিল। ভবিষ্যৎ নির্বাচন করারও ইচ্ছে।
বিভাগের ইস্যুতে জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা না দিয়ে তারা নিজেদের ভাইরাল করে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভাবুন- আপনারা কি তাদের অভিভাবক হিসাবে মেনে নিবেন!?
সারা বিশ্বের মুমিনরা একটি দেহের মত। মানুষ যেমন প্রতিটি অঙ্গের সুস্থতা চাইবে, তেমনি মুমিন চাইবে প্রতিটি এলাকার বসবাসরত মুমিনই অভাবমুক্ত, স্বচ্ছল জীবনধারণ করুক। গাজাবাসী উম্মাহর জন্য শিক্ষা নয় কি? সারা বিশ্বের মুসলিম, মানুষ গাজাবাসীকে সাহায্য করছে কিন্তু রাজনীতি, ক্ষমতা, বিদ্বেষের কারণে ফিলিস্তিন সরকার নিরব।
ইসলামী রাষ্ট্রনীতিতে শুধু নিজের এলাকার অধিবাসীকে (মুমিন, কাফের, মুশরিক) প্রাধান্য দেওয়া (অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক) উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিন্তু অন্য এলাকাকে অবহেলিত রাখার বিধান নেই। বরং খেলাফায়ে রাশেদীনের যুগে সমৃদ্ধ লোক/এলাকা হতে যাকাত/সদকা এনে দরিদ্র্য এলাকায় লোকদের সাহায্য করা হতো যেন সবাই অভাবমুক্ত হতে পারে। আর বিভাগ হোক, প্রদেশ হোক কুফরী আইন বিদ্যমান রেখে কখনও জুলুম, দারিদ্র্যমুক্ত রাষ্ট্র করা কি সম্ভব?
