ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, উইঘুর মুসলিম নির্যাতন আমাদের কষ্ট দেয়!

ইচ্ছে থাকলেও অনেকে দোয়া করা ছাড়া কিছু করতে পারছে না। কিন্তু অতি কাছের মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের নির্যাতন আমরা ভুলে গেলাম- যেখানে আমাদের অনেক কিছু করার ছিল ও আছে। ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, সিরিয়ার দুঃখ-কষ্ট তুলে ধরলে, জালেমদের বিরোধিতা করলে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করার এবং নিজ দেশের কুফর, শির্কের বিরোধিতা করলে জুলুম, জেল আসতে পারে তাই অনেকে চুপ।

খেলাফায়ে রাশেদীনের বৈশিষ্ট্য ছিল- শাসকদের যেমন সমর্থন করতেন তেমনি তাদের ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনে কঠোর হতেন। আমরা সবসময় জালেমের সমালোচনা করবো- বিগত যারা জালেম, ক্ষমতাধর ছিল তাদের বিরুদ্ধে যেমন অবস্থান ছিল বর্তমানেও জালেমের বিরুদ্ধে তেমন বলা উচিত।

আমাদের অধিকাংশের আচরণ হলো এর বিপরীত। নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে ক্ষমতাসীনদের বিরোধিতা করে না অনেকে। অথচ ক্ষমতা পতন ঘটলে তাদের সমালোচনা করে। একসময় যে নেতার ভাস্কর্য নিয়ে নিরব ছিল অনেকে, এখন তা হারাম ঘোষণা ঠিকই দিচ্ছে কিন্তু চেতনার নামে বহু হারামে (শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য) আজও আছে অনেকে চুপ।

যেখানে ইসলাম থাকবে না সেখানে জুলুম হবে, তা কমবেশি যাই হোক। যেখানে প্রকৃত মুসলিমরা ক্ষমতায় থাকবে না – সেখানে কাফের বা মুনাফেক দ্বারা দ্বীনদার মুসলিম নির্যাতিত হবে। আর ইসলাম অনুযায়ী সবচেয়ে বড় জুলুম হলো শির্ক। আর সবচেয়ে বড় জালেম হল যারা আইন বা নিয়ম করে মানুষকে শির্ক ও কুফর মানতে বাধ্য করে।

আমাদের অধিকাংশ মানুষ ভাবে – ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই সাথে সাথে সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা আসবে। কিন্তু উল্টো রসুলের (সা:) মদীনার ইসলামী রাষ্ট্রে ক্ষুধা, দারিদ্র্যতা ছিল অপরদিকে রুম, পারস্য ছিল সমৃদ্ধ। রসুলের (সা:) রাষ্ট্রে যে যার ধর্ম মুক্তভাবে পালন করতো কাউকে বাধ্য করা হতো না কুফর, শির্ক করতে। পর্দা ছিল, প্রকাশ্যে মদ বিক্রি, জেনা, গানবাজনা নিষিদ্ধ ছিল। চাইলেও কেউ পাপে জড়াতে পারতো না সহজে। ফলে ইসলাম মেনে জান্নাত পাওয়া যেত।

অপরদিকে রুম, পারস্য রাষ্ট্র সমৃদ্ধ হলেও জনগণকে দাস বানিয়ে রেখেছিল। তাদের মুক্তভাবে ধর্ম পালনের অধিকার ছিল যতটুকু শাসক বৈধতা দিত। আর পাপ ছিল অতি সহজ। যার ফলে তারা জাহান্নামের পথে চলছিল। ইসলাম দিয়েছিল সেই অধিকার – যেন তারা স্বইচ্ছায় দ্বীন গ্রহণ করে জাহান্নাম হতে রক্ষা পায়।

আমরাও এমন রাষ্ট্র চাই – যেখানে নেকী হবে সহজলভ্য, মুমিন যেন জেনা, গানবাজনাসহ পাপ হতে মুক্ত থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *