প্রশাসন – স্বল্প দামে যারা ঈমান বিক্রি করে!

আপনাদের (পুলিশ, সেনা, র‍্যাব) লাঠি-অস্ত্রগুলো যেন শুধু গরিব ও অসহায়দের জন্যই কঠোর! অথচ কুরআন অবমাননাকারী ও তাগুতদের নিরাপত্তা, সুদের ব্যাংকের পাহারা, মূর্তির রক্ষায় আপনারা সর্বদা সতর্ক ভূমিকা পালন করেন।

প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোলের শিশুর ধর্ষণের বিচার হয় না। বরং কারাগারে এসব ধর্ষকদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হয়। সাধারণ জনগণ যদি আইনের (শরীয়ার) আওতায় তাদের বিচার চাইতে যায়, তখন উল্টো তাদের উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে বন্দি করা হয়। যাদের আইন বর্জন করা ছিল ঈমানের দাবি, তারা তাদের রক্ষা করে চলেছ।

যারা কুরআন অবমাননাকারীকে রক্ষা, ধর্ষিত মুসলিম বোনের কাফির ধর্ষককে রক্ষায় নিয়োজিত ও কুরআন আবমাননাকারীর আইনজীবী, প্রমাণ থাকা স্বত্বেও তাগুতী আইনে ধর্ষককে বাচানোর চেষ্টা করবে, এজন্য তারা ইসলাম, আলেম ওলামা ও মুসলিমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় – তারা সবাই মুরতাদ। ওদের স্ত্রীগনের সাথে তালাক হয়ে গেছে, বোনেরা আলাদা হয়ে যান। তবে তার চেয়ে এসব আইনের লোকদের সাথে বিবাহই জায়েজ হয় না। ওদের জানাজা, বিয়ে পড়ানো বন্ধ করুন আর কেউ যদি পড়ায় তার পিছনে সালাত পড়বেন না, তাকে ঈমাম মানবেন না।আর যেসকল নারী ওদের বিবাহ করবে বা অভিভাবক বিয়ে দিবে -এটা এরকম হবে ওরা তাদের নারীদের ভরনপোষনের বিনিময়ে জেনা, ব্যাভিচারের অনুমতি দিল।

আবুজাহেলদের অনুসারী আর রসুলের (সা:) অনুসারী একসাথে থাকতে পারে না। যারা শিরক ও কুফরির সঙ্গে জড়িত এমন নারী-পুরুষকে বিয়ে করা মুসলমানদের জন্য হারাম। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ঘোষণা করেন-

‘তেমারা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিঃসন্দেহে একজন মুমিন দাসী যে কোনো মুশরিক নারীর চেয়ে অনেক উত্তম। যদিও এই মুশরিক নারীকে তোমাদের বেশি ভালো লাগে। আর তোমরা (তোমাদের নারীদের) মুশরিক পুরুষদের কাছে বিয়ে দিয়ো না। যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিঃসন্দেহে একজন মুমিন দাস যে কোনো মুশরিক পুরুষের চেয়ে অনেক উত্তম। যদিও সেই মুশরিক পুরুষকে তোমাদের বেশি ভালো লাগে। কারণ তারা (মুশরিকরা) সকলে তো জাহান্নামের দিকে ডাকে আর আল্লাহ তার বিধানের মাধ্যমে জান্নাত ও মাগফিরাতের দিকে আহবান করেন। তিনি তার আয়াতসমূহ মানুষের উপকারার্থে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তা অনুসরণ করতে পারে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২২১)

আল্লাহ তাআলা কুরআনের অন্য আয়াতে ঘোষণা করেন-

‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে চলে আসে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যায় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিয়ে করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যায় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যায় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা মুমতাহিনা : আয়াত ১০)

নিশ্চয়ই আল্লাহর কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামরত আর মানবরচিত আইনের রক্ষাকারী সমান হতে পারে না।

আল্লাহ বলেন-

অর্থাৎ, ওদের কি এমন কতক অংশীদার আছে, যারা বিধান দেয় এমন দ্বীনের যার উপর আল্লাহ অনুমতি দেননি? (সূরা শুরা-২১ আয়াত)

আল্লাহ আরো বলেন,

এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই তো কাফের। (সূরা মায়েদাহ ৪৪ আয়াত)

বিবেক জাগ্রত করুন! মানবরচিত আইনে চাকরি ইসলাম হতে বের করে দিয়েছে আপনাদের। তওবা করে ইসলামে ফিরে আসুন, নাহলে কাফের অবস্থায় মৃত্যু চলে আসতে পারে।আপনারা যদি অধিকাংশ লোক মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে শরীয়াহ আইন ছাড়া চাকরি করবেন না, তাহলে এসব তাগুত ও তাদের সংবিধান নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে।

আর কত!! একজন আবমাননাকারীর বিচার হয় না, কেউ জানে সেই ঘটনাকে ঢাকতে মুসলিম মেয়েদের তারা ধর্ষন ও বিপদে ফেলছে।