মাত্র ১৩ বছরের মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে প্রতারক হিন্দু দ্বারা। এর দায়ভার সকল সনাতনীর নয়, ব্যক্তি ও তাকে রক্ষায় চেষ্টারত স্বজন ও প্রশাসনের। মুসলিম নামধারী অনেকে মন্তব্য করছে পিতামাতার বেখেয়ালে হয়েছে, অনেকে পর্দার প্রশ্ন তুলছে।
একটা মেয়ের পিতামাতা সচেতন না বা মেয়েটা বিচক্ষণ না, এজন্য কি তার উপর ধর্ষন জায়েজ হয়ে গেছে!? তাহলে কাফিররা কি পর্দা করে!? ওরা ওদের মেয়েদের ধর্ষন না করে বার বার মুসলিম মেয়েদের কোন বাছাই করে? কারণ ওরা জেনে গেছে এদেশের কাফির নারী, পুরুষ, মেয়ের কিছু হলে বিচার হয় তড়িৎ আর মুসলিম হলে সহজে হয় না।
পিতা-মাতা, অভিভাবকের ভুল বা পাপের শাস্তি তারা পাবেন অথবা তওবা করলে আল্লাহ মাফ করবেন। কিন্তু এই সময়ে প্রয়োজন ছিল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্ষনের শাস্তি নিশ্চিত করা।
কিছুক্ষেত্রে নামধারী মুসলিমদের ভূমিকা সুশীল সমাজ, কাফিরের চেয়েও খারাপ। বিশ্বের বহুদেশে কোন সুশীল সমাজের কেউ বা কাফির বোন যদি ধর্ষিত হয় কাফিররা তখন খুজে না বোনটা কি পর্দাশীল, শালীন না অশ্লীল নারী, তার পিতামাতা কি উদাসীন মেয়ের সুরক্ষায়?! তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ধর্ষনের বিচারের।
দুঃখজনক হলেও সত্যি ভারত, মায়ানমারসহ বহুদেশে মুসলিম কর্তৃক কাফির ধর্ষিত হলে এর বিচার প্রশাসন পর্যন্ত পৌছাতো না, জনগনই নিজ হাতে বিচার করতো।
আহ! কি বলবেন মুসলিম নারীর চেয়ে বিধর্মী নারীর মূল্য যেন এখন বেশি। মুসলিমরা তাদের নিষ্পাপ বোনের ইজ্জত রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও অধিকাংশ কাফিররা ঠিকই মুসলিম বিদ্বেষে নিজেদের অপরাধীকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ।
