দুনিয়ার জন্য আখিরাতকে তুচ্ছ করা!

অভিভাবকগণ তার সন্তানকে দক্ষ ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নে শিশু বয়সেই (৬-৭ বছর) বিভিন্ন একাডেমীতে  ভর্তি করায়। যে কোন সময় শক্ত বলের আঘাতে তারা আহত এমনকি নিহতও হতে পারে। কোন মিডিয়া, সংবাদ ও অভিভাবকগণ একে উগ্রবাদ ভাবে না। অথচ কেউ যদি জিহাদের জন্য শারীরিক প্রস্তুতি অর্জন করে একে উগ্রবাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সাহাবী, তাবেয়ীরা যেভাবে সন্তানদের প্রস্তুতি করাতো জান্নাতের (মুজাহিদরূপে) পথে- আজ আমরা সেভাবে দুনিয়ার খ্যাতি, সমৃদ্ধির জন্য ক্রিকেটার রূপে প্রস্তুত করাতে চাই। আফগানিস্তানে যোদ্ধা তৈরি হতে বিরত করতে না পেরে পশ্চিমারা ক্রিকেটের আবেগ ঢুকিয়ে দিয়েছে যেন মুজাহিদের সংখ্যা কমে ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ে।

আর চিন্তা করুন- যদি কেউ এই হারাম খেলায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় মারা যায় তাহলে তার স্থান কোথায় হবে? আর শহীদদের জন্যে রয়েছে আল্লাহর নিয়ামত। শহীদের রক্তের প্রথম ফোঁটা যমীনে পড়তেই তাকে মাফ করে দেয়া হয় এবং জান বের হওয়ার প্রাক্কালেই তাকে জান্নাত দেখানো হয়। তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করা হয়, ক্বিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা হতেও তাকে নিরাপত্তা দেয়া হয়। সেদিন তার মাথায় সম্মানের মুকুট পরানো হবে, যার একটি মুক্তা দুনিয়া ও তার মধ্যেকার সবকিছু হতে উত্তম। তাকে ৭২ জন সুন্দর চক্ষুবিশিষ্ট হুরের সাথে বিয়ে দেয়া হবে। ৭০ জন নিকটাত্মীয়ের জন্য তার সুপারিশ কবুল করা হবে। (তিরমিযী, হা/১৬৬৩, ‘জিহাদের ফযীলত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৫; মিশকাত, হা/৩৮৩৪)।

দুনিয়ার খ্যাতি, সমৃদ্ধির জন্য আমরা কি জান্নাতের কথা ভুলে যাচ্ছি!?