যখন তাওহীদ, জিহাদ ও খিলাফাহর বর্ণনা করা ফরজ তখন আলেমরা বহু বিবাহের ফজিলত, তর্ক ও বিতর্কে ব্যস্ত। বর্তমান সমাজ মক্কার প্রাথমিক যুগের মতই জাহেলী। তাওহীদ জানানো ফরজ। নিত্যই জেল-জুলুম ও গুম হয় মুমিন। আর ওরা মদীনার ইসলামী রাষ্ট্রের বহু বিবাহের আয়াত এনে ভুল ব্যাখা করে।
জাহেলী সমাজব্যবস্থায় ঈসা (আ), ইয়াহিয়া (আ) বিয়ে করতে পারেননি কিন্তু দাওয়াহর কারণে ইয়াহিয়া (আ) শহীদ হন, ঈসার (আ) উপর জুলুম হয়, তারা কি উত্তম নন?
যৌবনের ইবাদত আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয় আর এই ইবাদত করছে আমাদের যুবক ভাইয়েরা ময়দানে বা কারাগারে জালিম ও শাতিমে রসুলের (স:) বিরুদ্ধে কঠোর হয়ে। তারা সফল না ব্যর্থ?
সাহাবীরা বিবাহ, নতুন স্ত্রী ছেড়ে ময়দানে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। মদীনার মতো মুসলিমদের জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করুন তারপর বহুবিবাহ করুন। এদেশেরই শায়েখ আছেন কারাগারে যৌবন শেষ করেছেন, তার স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন। বিশ্বের বড় মুজাহিদদের জীবনী দেখুন তাদের স্ত্রীরা তাদের সাথে গুহার জীবন বেছে নেন নি, বরং অনেকে দামী গৃহে বসবাস করে স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়।
সাহাবীরা বহুবিবাহ করেছে মদীনায়, মক্কায় নয়। মক্কা জীবনে তাদের তো জীবনের নিরাপত্তাই ছিল না। নির্যাতন, অভাব, অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। কাফেররা তাদের কন্যা দিবে কি উল্টো রসুলের (সাঃ) দুই কন্যাকে তালাক দিয়ে দেন ইসলামের সাথে শত্রুতা প্রদর্শন করে এবং সুমাইয়াকে (রাঃ) প্রকাশ্যে যৌনাঙ্গে বর্শা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়। মদীনা রাষ্ট্রে মুসলিমদের নিরাপদ ভূখন্ড হল- তখন কোন মুসলিম নারীর উপর আঘাত তো দূরের কথা শুধু একজন ইহুদির ষড়যন্ত্রের কারণে বাজারে এক মুসলিম নারীর পোষাক খুলে যায়, তা নিয়ে সংঘাত হয়।
শেষ পর্যন্ত রসুল (সাঃ) সহ সাহাবীরা ওদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। মদীনা হতে ওদের বের করে দেন। এখন সঠিক ইসলাম মেনে ও প্রচার করে দেখুন আপনার ও আমার অবস্থা হবে মক্কার জীবনের মত একজন স্ত্রীর নিরাপত্তা দেওয়াই কষ্টকর হবে। আর কয়জন আপনাকে মেয়ে দিবে? কাফের, ইহুদির দালাল, জঙ্গি অপবাদ দিয়ে অধিকাংশ লোকই পাত্রী দিবে না। সঠিক দাওয়াত দেওয়ার ফলে হয়তো হিজরত ও জেহাদ ফরজ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মক্কা জীবনের মত একজন নারীই উত্তম।
