আমাদের সমাজে অনেক বক্তা/লোক আছে যারা দ্বীনের জ্ঞানকে বিপথে ব্যয় করে। ওরা জ্ঞান অর্জন করে গর্ব করার জন্য। অন্যের সমালোচনা ও একে পুজি করে দুনিয়াবি ফায়েদা লাভের জন্য। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি চার উদ্দেশ্যে ইলম তলব করে সে জাহান্নামে প্রবিষ্ট হবে- ইলমকে ব্যবহার করে আলিমদের সঙ্গে গৌরবার্জনের প্রতিযোগীতায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য, কিংবা এর দ্বারা মূর্খদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির মানসে অথবা জনসাধারণের দৃষ্টি তার দিকে ফেরানোর উদ্দেশ্যে কিংবা এর মাধ্যমে শাসকদের হতে কিছু লাভ করার স্বপ্নে। (সুনানু দারিমি ১/৩৭৪, ৩৭৯)।
তাই আলেম ও এই ধরনের ব্যক্তি ওদের নিজের আমল ভালো না হলেও অন্য আলেমদের সাথে তর্কে জড়াবে। অথচ শাসকের ভুলগুলোর ব্যাপারে নিশ্চুপ রইবে, বরং দুনিয়াবী ফায়েদার লাভে কুরআন-সুন্নাহর ভুল ব্যাখা করে শাসকের পক্ষ নিবে।
রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দাওয়াতের প্রাথমিক জীবনে মদ, সুদ হারাম হয়নি, জেহাদও ফরজ হয়নি। তবুও দাওয়াতের ফলে নির্যাতন এসেছিল কারণ দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে তিনি আকীদা, কালেমার অর্থ, তাগুত ও আল ওয়ালা ওয়াল বারা, জান্নাতের ইচ্ছে ও জাহান্নামের ভীতি শিখিয়েছেন। আজ মূল আকীদার বিষয় বাদ দিয়ে মাসয়ালাগত দ্বন্ধ ও জনপ্রিয়তা নিয়ে ব্যস্ত। যারা কুরআনের কিছু আয়াত বলে আর কিছু আয়াত লুকিয়ে রাখে তাদের নিকট দ্বীন নিরাপদ নয়।